ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির সিনিয়র নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, দেশের অর্থনীতি আজ বেহাল হয়ে গেছে, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। এক কেজি চালের দাম আজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সবকিছু নাগালের বাইরে চলে গেছে। এই সরকারের যত নেতারা ছিলেন তারা আজ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। এভাবে চলতে থাকলে একদিন আমরা দেখবো দেশটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গেছে। এই অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার অর্থ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি পরিস্থিতি ভেঙে যাওয়া, রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে যাওয়া এবং এই অবনতির ফলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না।
গত সপ্তাহে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান তার বক্তব্যে আরো বলেন, আওয়ামীপন্থীদের নিয়ে তারা একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে এই নির্বাচন কমিশনকে রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। জনগণের অভিব্যক্তি ছাড়া আমরা নতুন কোনো নির্বাচনে যেতে পারি না।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যই ছিলো দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু আজ এমন অবস্থা হওয়ার কারণ- এই সরকার লুটেরা সরকার। এই সরকার দুর্নীতিবাজ সরকার।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা না থাকলে এবং গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে না পারলে দেশের ধ্বংস অনিবার্য। দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম শুধু বিএনপির একার বিষয় নয়। জাতীয় সংগ্রামের কারণে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যারা রাজনীতি করে না তাদের জীবনও আজ দুর্বিষহ হয়ে গেছে। এজন্য তারাও আজ এই জাতীয় সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, এই সরকারকে অবশ্যই হটাতে হবে। এজন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। এই সরকারের দুর্নীতি ও জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে আনতে হবে উল্লেখ করে বলেন, এই সরকারকে আর কোনোভাবেই রাতের আঁধারে নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোদাররেস আলী ঈসা, ইয়াসমিন আরা হক, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাহবুবুল হাসান ভুইয়া পিংকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল, আফজাল হোসেন খান পলাশ, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আদনান হোসেন অনু প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একে কিবরিয়া স্বপন।