ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি জন্য মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে গেছে। টিসিবির ট্রাকের পেছনে মধ্যবিত্তরাও দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য পাচ্ছেন না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার কোনো সাহস বা ক্ষমতা,কোনোটাই এই মিডনাইট সরকারের নেই। কারণ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তারা পকেট ভারি করার জন্য একসঙ্গে দ্রব্যের দাম বাড়াচ্ছে। এই সিন্ডিকেট সকলেই আওয়ামী লীগের লোক। আওয়ামী লীগ নেতাদের সন্তানরা প্রশাসনের মধ্যে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করে সরকার চালাচ্ছে। আজকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি তাদের সিন্ডিকেটের কারণে হচ্ছে।’
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে শ্রমিক দলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক একেএম ফজলুল হক মোল্লা’র প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকাস্থ হোমনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম এই সভার আয়োজন করে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, শ্রমিকদলের মিঞা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশ আজ বিরাট সংকটের সম্মুখীন। দেশে গণতন্ত্র নেই। মুক্তিযুদ্ধের মূল যে আকাঙ্ক্ষা-স্বপ্ন ছিল একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সেই গণতন্ত্রকে আজকে যারা ক্ষমতায় তারা বারবার হত্যা করেছে। ৭২ থেকে ৭৫ সাল বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আবার সেই ১/১১ সরকার তাদেরকে বসিয়ে দিয়ে গেছে। সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের নেত্রী যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন সেটাও তারা (সরকার) বাতিল করেছেন। আজকে গায়ের জোরে সরকার টিকে রয়েছে।
তিনি বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে টিকে থাকার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে; মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে, দেশে মানবাধিকার নেই। আজকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আমেরিকা বাংলাদেশের একটি সংস্থার বড় বড় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে করে আমাদের ভাবমূর্তি বিদেশে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর জন্য কারা দায়ী? দায়ী এই সরকার।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে জনগণ এই সরকারকে দেখতে চায় না, পরিবর্তন চায়। আমরা দল থেকে বলেছি, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আর কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব না। আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। এই সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।