ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নতুন সভাপতি হয়েছেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হলো তিনি যশোরের কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে।
রোববার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে আলোচিত হচ্ছে শ্রাবণের সভাপতি হওয়ার বিষয়টি।
২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। সেই সময় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ওই সম্মেলনে ভোটে হেরে তিনি সিনিয়র সহসভাপতি মনোনীত হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলামের বড় ছেলে এবং রওনাক শ্রাবনের ভাই কাজী মুস্তাফিজুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। মেজো ছেলে কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। সেজো ছেলে কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান আহ্বায়ক।
আর রফিকুল ইসলামের সবচয়ে ছোট ছেলে রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। কেশবপুরে কাজী পরিবারের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কাজী রওনাকুল ইসলাম ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। গতকাল শ্রাবণ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত কয়েকজন সাবেক ছাত্রদল নেতা বলেন দেশে দির্ঘদিনের গনতন্ত্রহীনতার মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। সেই নির্বাচনে বিএনপির যোগ দেয়া নিয়ে চলছে ব্যপক আলোচনা। এখন পর্যন্ত বিএনপি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচন বর্জনে ঘোষনা দিয়েছে। তবে দাবী আদায়ের জন্য বিএনপি আন্দোলনে যেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় ছাত্রদলের সভাপতির ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ন। পরিপুর্ন আওয়ামী পরিবারের সদস্য শ্রাবন এই আন্দোলনে কতটুকু জোড়ালো ভূমিকা রাখতে পারবে সেটা এখন দেখার বিষয়।