ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের মতো অনুষ্ঠানে হামলাকে কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইফতার মাহফিলে ন্যাক্কারজনক হামলা ক্ষমতাসীন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আরও একটি ঘৃণ্য বহিঃপ্রকাশ। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হামলায় আবারও প্রমাণিত হলো-গণতন্ত্রকে বিলীন করে আইনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা সমগ্র দেশে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে বেপরোয়া, বেসামাল ও হিংস্র হয়ে উঠেছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এখন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।
সোমবার রাতে গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রনি রহমানসহ ১০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। এছাড়া রোববার দুপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দ্বিতীয় দফায় বিএনপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুরসহ সেখানে অবস্থানরত ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌর শাখার আহবায়ক পলাশ ও ছাত্রনেতা লিটনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। ইফতার মাহফিলে হামলার ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থ চেহারা ঢাকতেই পবিত্র রমজান মাসেও বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর সহিংস হামলা অব্যাহত রেখেছে। অগণতান্ত্রিক পন্থায় দেশ শাসনের কারণেই দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। যার ফলশ্রুতিতে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ নাগরিকদের জীবন যাত্রা এখন চরম হুমকির মুখে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সিয়াম সাধনার মাসে ইফতার মাহফিলের মতো স্পর্শকাতর অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় এটি স্পষ্ট যে, স্বাধীন রাষ্ট্রটি এখন সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের হামলা ও নেতাকর্মীদেরকে আহত করা সেটিরই নিকৃষ্ট উদাহরণ। পুলিশের চোখের সামনে প্রতিনিয়ত সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের নারকীয় তাণ্ডব চললেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নীরব থাকছে। আর এ কারণেই সন্ত্রাসীরা অতি উৎসাহে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও নৃশংসতা চালাতে সাহস পাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দমনপীড়ন চালিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ এবং বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ক্রমাগত জুলুম নির্যাতন ও গুম, খুন, অপহরণের হিড়িক চলছে। তাতে দেশের মানুষ এখন সর্বদা আতঙ্কগ্রস্ত। এই ধরনের সহিংস জুলুম ও রক্তপাতের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।