বিশ্ব মা দিবসে দেশনায়ক তারেক রহমানের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
বিশ্ব মা দিবসে দেশনায়ক তারেক রহমানের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
সংবাদটি পড়েছেন:326,650
ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মা’কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
গতকাল শনিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে বলা হয়, ‘মা’ এই শব্দটি পৃথিবীর সবচাইতে প্রিয় ও মমতামাখা একটি শব্দ। পরিবার সুন্দর, সুগ্রন্থিত ও বিকাশ সাধিত হয় জন্মদাত্রী মা’কে ঘিরেই। পরিবারে মা হচ্ছেন এক স্বর্গীয় বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহিয়সী মায়ের শিক্ষাই শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করে। আবহমান কাল ধরেই এই অমোঘ ধারা চলে আসছে।
‘মা’ শব্দটি উচ্চারিত হওয়ার সাথে সাথে আমাদের হৃদয়ের মানসপটে ভেসে ওঠে অসীম, চিরন্তন, আত্মত্যাগ, ভালবাসার প্রতিচ্ছবি, এক মমতাময়ী প্রতিমূর্তি। সুমাতার সাহচার্য সন্তানের উৎকর্ষতা ও প্রকৃত মানব-সত্তার জাগরণ ঘটায়, সন্তানের আত্মাকে করে নির্মল, স্বচ্ছ ও পবিত্র। নিষ্ঠা সহকারে দায়িত্ব পালন ও গ্রহণ করতে মায়েরা থাকেন সন্তানদের নিকট অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। মা-ই হচ্ছেন শিশুর সর্বোৎকৃষ্ট বিদ্যানিকেতন।
সন্তানদের সুশৃঙ্খল, শিষ্ট ও সর্বক্ষেত্রে যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠার পিছনে থাকে একমাত্র মায়েদের অক্লান্ত অবদান। সুমাতার সাহচর্যে গড়ে ওঠা সন্তানই সমাজ ও রাষ্ট্রের সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। বহুদলীয় গণতন্ত্র অর্জনের সংগ্রামে এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন কেটেছে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম ও নিরলস পরিশ্রমে। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। এই মহিমান্বিত দিবসে আমি তাঁর রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনা করছি।
আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা, সকল মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। বর্তমান দুঃসময়ে সামাজিক অবক্ষয়ে জনজীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। নারী-শিশুর ওপর নির্যাতনের হিড়িকে ভয়ানক নৈরাজ্যে সমাজে বিপজ্জনক পরিস্থিতি বিরাজমান।
এমতাবস্থায় সন্তানকে নির্ভুল, সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে কেবলমাত্র সুমাতা। যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়।
আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মায়ের প্রতি আমি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি তাদের অব্যাহত সুখ ও সৃমৃদ্ধি কামনা করি। ‘মা’ বিস্ময়কর ও আলোকদীপ্ত একটি শব্দ। জীবনের যেকোন সাফল্যে মায়ের অবদান অপরিসিম।
“মা” একটি পবিত্র শব্দ, যে ভাষায় তাকে সম্বোধন করা হোক না কেন, সর্বকালে সর্বক্ষেত্রে সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে দেশ ও কালের সীমানা অতিক্রম করেও মায়ের আত্মত্যাগের ভালবাসার রূপ অনেকটা অভিন্ন। সন্তানদের জন্য কঠিন ত্যাগ স্বীকার কেবল মায়েদের পক্ষেই সম্ভব। তিনি সন্তানের জন্য কষ্ট-যাতনা মুখ বুজে সহ্য করেন, অসীম ত্যাগ স্বীকার করেন। মা’র অনুগ্রহ ছাড়া কোনো প্রাণীরই প্রাণধারণ করা অসম্ভব। সত্যের জন্য, সম্মানের জন্য, আত্মমর্যাদার জন্য মায়ের সান্নিধ্য সন্তানকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। অনেক শক্তির আধার একজন মা।
তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য দেশনেত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আর্থিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে এদেশে দেশনেত্রীর অবদান কিংবদন্তিতুল্য। আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও আশু সুস্থতা কামনা করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দায়িত্বশীল ও শিক্ষায় আলোকিত মায়েদের সুসন্তানরাই দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভেঙ্গে সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে এবং জাতীয় উন্নয়নকে করবে বেগবান।
মা দিবসে আমি দেশের সকল নাগরিককে আহবান জানাবো তারা যেন মায়েদের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান ও কর্তব্য পালন করেন, কারণ কেবলমাত্র সন্তানদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার একমাত্র শর্ত হচ্ছে মায়ের মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন থাকা।