বিএনপিসহ বিরোধী দলের ওপরে আর হামলা হলে সমুচিত জবাব দেয়া হবেঃ মির্জা আব্বাস
বিএনপিসহ বিরোধী দলের ওপরে আর হামলা হলে সমুচিত জবাব দেয়া হবেঃ মির্জা আব্বাস
সংবাদটি পড়েছেন:327,274
ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপিসহ বিরোধী দলের ওপরে আর হামলা হলে ক্ষমতাসীনদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপির এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে প্রেসক্লাবের আশে পাশে জড়ো হতে থাকেন। এক সময়ে প্রেসক্লাব এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। সকলের মুখে সরকার বিরোধী শ্লোগান ছিল। একই দাবি সরকারের পদত্যাগ। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বিএনপি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামী শনিবার সারাদেশে জেলা পর্যায়ে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি করবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমাদের আর কারো ওপরে হামলা হলে, কারো ওপরে জুলুম হলে আমরা একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়বো- কাউকে বিন্দু মাত্র ছাড় দেয়া হবে না, সমুচিত জবাব দেয়া হবে। আজকে ড. খন্দকার মোশাররফ সাহেবের বাসায় হামলা হয়েছে, রেদোয়ান সাহেবের ওপর হামলা হয়েছে, আরো যাদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা আশা করছি যে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে ইনশাল্লাহ এই প্রতিরোধ ও প্রত্যাঘাতের মাধ্যমেই আমরা আওয়ামী সরকারের পতন ঘটাবো।
মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন আগে তথাকথিত বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে বাধা দেয়া হবে না। এই কথা যেদিন বললেন, তার ঠিক পরদিন আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেবের বাড়িতে হামলা করা হলো ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে। এরপরে রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে হামলা করা হলো, বাংলাদেশে ১০/১২টি জায়গায় হামলা করা হয়েছে ঈদ পুনর্মিলনী উৎসবে। এই যে কর্মকান্ডগুলো করলো প্রধানমন্ত্রী বলার পরে এই ধরনের ঘটনা কী করে ঘটলো? প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ-আদেশ অথবা অনুরোধের পরে এই ধরনের ঘটনা ঘটলো। অর্থাৎ এদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী কিংবা চোর-বাটপার-লুটেরা আজকে প্রধানমন্ত্রীর কথাও শোনে না। তা নাহলে কেনো খন্দকার মোশাররফের বাড়িতে হামলা হবে, কেনো রেদোয়ানের গাড়িতে হামলা হবে?
তিনি বলেন, খন্দকার মোশাররফের বাড়িতে হামলা হয়েছে। সেখানে কিন্তু আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ উত্তম-মধ্যম খেয়েছে, রেদোয়ানের ওখানে হামলা হয়েছে সেখানেও কিন্তু আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ উত্তম-মধ্যম খেয়েছে। অর্থাৎ প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে। এখন প্রত্যাঘাত করতে হবে তাদেরকে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদসহ বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, নির্বাচন কমিশনার বলনেছ, আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি ইভিএমে করব না স্বাভাবিক করবো। ওই দিকে প্রধানমন্ত্রী বলে ফেললেন যে, তিনশ সিটে ইভিএমে নির্বাচন হবে। তাহলে আমরা আজকে বলছি যে, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না-ওই কথা প্রমাণ হয়ে গেলো। হাসিনা সরকারের অধীনে, আওয়ামী সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এটা আমাদের বক্তব্য। বিভিন্ন পত্রিকায় দেখি কত আসন, এতো আসন। আসন যারা ভাগ করছেন আমরা আপনাদের পা টা ভাগ করে দেবো। আসন ভাগের নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না, কোনো আঁতাতের নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেয়া হবে না-কথাটা মনে রাখবেন। ১৯৮৬ সালের মতো যারা এবারো শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইবে তারা ‘জাতীয় বেঈমান’ হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, মান্না সাহেব (মাহমুদুর রহমান মান্না) বলেছেন, যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান হবে। এই কথাটা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানের জনসভায়। তিনি বলেছিলেন, এরশাদের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান হবে। কিন্তু বলার পরে তিনি ঠিকই নির্বাচনে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ তিনি নিজেকে জাতীয় বেঈমান হিসেবে প্রমাণিত করেছিলেন। এবারো যারা নিজেকে জাতীয় বেঈমান হিসেবে প্রমাণ করতে চাইবে ইনশাল্লাহ আমরা সরকার এবং তাদের বিরুদ্ধে একযোগে ব্যবস্থা নেবো। আগামী আন্দোলনে সকলকে একযোগে কাজ করার প্রস্তুতি নিতেও বলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই নেতা।
শ্রীলংকা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, শ্রীলংকায় আজকের এই অবস্থাটা কেনো হলো? কারণটা হলো চুরি। শ্রীলংকা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গিয়েছিলো, শ্রীলংকা ঋণ নিতো, সেই ঋণের টাকায় মেগা প্রকল্প করতো আর মেগা প্রকল্পের টাকা বিদেশে পাচার করতো। এ কারণে সেখানে অর্থনীতিতে ধস নেমেছে, মানুষজন নিঃস্ব হয়ে গেছে। আপনারাও (বাংলাদেশ সরকার) কিন্তু এই কাজগুলো (মেগা প্রকল্প) স্টপ করছেন না। এখনো ১২টি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা ওই সমস্ত মেগা প্রকল্পের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন। তারা বলছেন যে, এই সব প্রকল্প হলে বাংলাদেশ শ্রীলংকার মতো হতে পারে।
মির্জা আব্বাস বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আমরা কয়েকবার সভা করেছি। চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। আমরা জানি যে, সাধারণ সরকার দ্রব্যমূল্য বেঁধে দেয় জনগণের সুবিধার্থে। আর এই সরকার তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে। এই যে টাকা কোথায় যাবে, কার কাছে যাবে দেশের মানুষ তা জানতে চায়। আবার তারা (সরকার) বলে কি জানেন, দেশে নাকি মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে- দুই হাজার ৮শ ৮২ টাকা। কার কি আয় বেড়েছে আমি জানি না তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে এই নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, আওয়ামী লীগের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে গেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আওয়ামী লীগের বাইরে যারা আছে তারা যে না খেয়ে আছে এতে কোনো সন্দেহ নাই।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, অনির্বাচিত সরকারকে ছাড় দেয়ার সময় নাই। জীবন রক্ষার অধিকার আমাদের আছে, আমরা যা করি তা সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে করে থাকি। মিটিং-মিছিল-হরতাল করার মৌলিক অধিকার আমাদের আছে। আর কোনো প্রতিবাদ নয় হামলা হলে প্রতিরোধ নয়। হামলার বদলে হামলা, আঘাতের পর আঘাত করা হবে। পোশাকে কিংবা সিভিলে যারাই আমাদের ওপর হামলা করবে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা, পাল্টা আঘাত করে প্রতিরোধ করব। কাউকে ছাড় দেয়ার সময় নাই। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, যারা রাজপথের আন্দোলনে আছেন। তারা টেলিভিশনে ছবি তোলা বন্ধ করেন। সরকার পতনে ঐক্যবদ্ধভাবে সবকিছু মোকাবিলা করতে হবে। এখন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়। বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এ হামলা পরিকল্পিত। আমরা শুধু মার খাবো সেই দিন শেষ। এই সরকার ও সংসদ রেখে কোনো নির্বাচন এদেশে হবে না। আমরা যদি নির্বাচনে না যাই তাহলে কার সঙ্গে খেলবেন? শ্রীলঙ্কা সরকারের অবস্থা থেকেও যদি বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের শিক্ষা না হয়। তাহলে বুঝতে হবে তাদের পরিণতিও ভয়াবহ হতে পারে। আমরা তাদের পরিণতি এরকম হোক তা চাই না। আমরা চাই, তারা ভালোভাবে প্রস্থান করুক। পদত্যাগ করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তাদের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশে বাধা দেয়া হবে না। ঠিক তার পরের দিনই বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসভবনে হামলা চালানো হয়। তার মানে হচ্ছে সবাইকে বুঝতে হবে শেখ হাসিনা যা বলেন করেন তার উল্টো, তিনি যা করেন তা কখনোই বলেন না, যা বলেন তা করেন না। শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রাজা পাকসের মতো এদেশের অনির্বাচিত তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের লোকেরাও মুদ্রাপাচারে ব্যস্ত বলে জানান বাবু গয়েশ্বর রায়।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেখতে পেলাম। দেশি-বিদেশি নয়, প্রতিবেশী ও এদেশের অনির্বাচিত সরকার আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসন বণ্টনের ফেরি করে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে প্রশ্ন রাখতে চাই আসন বন্টন করার অধিকার আপনাদেরকে কে দিয়েছে?
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যখন সরকার গঠিত হবে তখন সবকিছু বিচার করা হবে। এখন লড়াই করব, মরব, সরকার পতন নিন্ডিত করবো, বিজয় অতি নিকটে। গয়েশ্বর বলেন, যারা এ সরকারের নির্বাচনি ফাঁদে পা দিবে তাদেরকে ঘেরাও করতে হবে, সব সময় নজরে রাখতে হবে। কেউ এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে চড়ার সময় পাবেন কিনা সেটা তাকে বিবেচনা করতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই দেশ এখন হচ্ছে দুর্বৃত্তদের-সন্ত্রাসীদের দেশ। আর সন্ত্রাসীর মা এবং সন্ত্রাসীদের লালন-পালনকর্তা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) বলছেন ইভিএমে নির্বাচন হবে, উনি বলার কে? নির্বাচন কমিশন কে তাহলে? আমরা যে বলেছি নির্বাচন কমিশন আর শেখ হাসিনা একাকার। আপনি বলেন ইভিএমে নির্বাচন হবে তাহলে তো বোঝা যাচ্ছে ওই নির্বাচন কেমন হবে? কত মহাজালিয়াতির নির্বাচন হবে।
রিজভী বলেন, আগে আমরা জানতাম দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীরা সমাজের অপরাধী। এদের জায়গা ছিল করাগারে। এখন তাদের জায়গা আর করাগারে নয়, ওদের জায়গা কারাগারের বাইরে, ওদের জায়গা ওদের আশ্রয় স্থল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ এবং মৎস্যজীবী লীগে। আর কারাগারে জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্রকামী মানুষের, যারা গণতন্ত্র এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন তাদের জায়গা হচ্ছেন কারাগারে। বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনি দেখবেন ফটিকছড়িতে স্কুলের পুকুরের মাছ চুরি করেছে কে? কৃষকলীগের নেতা- খবরের কাগজে এসেছে। ফেনীতে একজন প্রতিবন্ধি নারীকে শ্লীলতাহানি করেছে কে? আওয়ামী লীগের নেতা। লোকজন জোর করে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে। প্রত্যেকটি জায়গায় সমস্ত দুষ্কতকারী আজকে আশ্রয়, প্রশ্রয় পেয়েছে আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রের নমুনা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, রোজার মধ্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের ইফতার পার্টি ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন গণতন্ত্রের কথা। প্রায়ই দেখবেন শেখ হাসিনা বলেন আমি মানুষের ভাতের অধিকার দিয়েছি, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছি। আপনারা দেখছেন গণতন্ত্রের নমুনা। মির্জাগঞ্জ পটুয়াখালীর ইউএনও একটি অনুষ্ঠানে তার বক্তব্য শেষে জয়বাংলা বলেননি বলে এজন্য আওয়ামী লীগের নেতারা সেই ইউএনওকে ধাওয়া করেছে, তাকে অপমান করেছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রের নমুনা।
তিনি বলেন, গতকাল খবরের কাগজে এসেছে মুক্ত গণমাধ্যমের সূচকে বাংলাদেশ আরও দশ ভাগ নেমে গেছে। আগে যা ছিল তার চেয়েও পিছিয়েছে। অর্থাৎ ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২। সবচেয় মজার বিষয় হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিচে এমনকি তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে সংবাদপত্রে যে সেই স্বাধীনতাও বাংলাদেশে নেই।
রিজভী আরও বলেন, যারা গণতন্ত্র চান তারা যদি শেখ হাসিনার কোনো নির্বাচনের ওই পাতা ফাঁদে পা দেন। তাহলে বিষাক্ত সাপের ওপর পা দেয়া হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মহানগর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ নেতা বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সমাবেশে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান মাশুক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আমিরুজ্জামান শিমুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার মারুফ হোসেন, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, সহ-সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, আনু মোহাম্মাদ শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসীন আলী, দফতর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক সর্দার নুরুজ্জামান, সৈয়দ শহিদুল ইসলাম, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নান্নু, ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদুল মিরাজ, এসএম মিজানুর রহমান রাজসহ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।