ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর এবং নগ্ন হামলা বিরোধী দল-মত দমনেরই বহিঃপ্রকাশ।
‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার’ প্রতিবাদে বামপন্থী আটটি ছাত্রসংগঠন এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেছে। পৃথক বিবৃতিতে এ হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটও। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে এ দুই বিবৃতি পাঠানো হয়।
আট ছাত্রসংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে ছাত্রসংগঠন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রমাণ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের নির্মম হামলা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি করেছে ভীতিকর ও অনিরাপদ পরিবেশ। এ হামলা বিরোধী মত দমনের বহিঃপ্রকাশ। ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলমান থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের পুতুল প্রশাসনের ভূমিকা পালন করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদ অকার্যকর। ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসমুক্ত ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য পরিবেশ পরিষদের কাজ করার কথা থাকলেও প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় পরিষদটির অস্তিত্বের কথা শিক্ষার্থীরা ভুলতে বসেছেন। অবিলম্বে উপাচার্যকে পরিবেশ পরিষদের সভা আহবান করে ক্যাম্পাসে নিরাপদ ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন, ছাত্র ফেডারেশনের একাংশের সভাপতি মশিউর রহমান খান, আরেক অংশের সভাপতি মিতু সরকার, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা ও বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া সই করেন।
এদিকে অপর বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্য লাঠিয়াল বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করা এবং শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।