ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কোনো ধরনের প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার আশঙ্কা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই সর্বজনীন মানবাধিকার সমুন্নত রাখার প্রয়াসে মানুষের স্বাধীনতা থাকা উচিত বলে মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে (মিডিয়া নোট) বলা হয়, আইনের শাসন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মুক্তভাবে মতপ্রকাশের অধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুস্থ বা শক্তিশালী গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং এটি সকলের অধিকারও। ভোটাভুটিকে সামনে রেখে নির্বাচন, দুর্নীতি অনুসন্ধান এবং রিপোর্ট প্রকাশ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নথিভুক্তকরণ কিংবা সাধারণ কোনো উদ্দেশ্য হাসিলে মানুষের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ- যে কারণেই তা শিরোনামে আসুক না কেন- মনে রাখতে হবে মানুষ এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনগুলোই (এনজিও) সর্বত্র জীবন এবং গণতন্ত্রের মূলনীতি বা মূল্যবোধকে সুরক্ষা দেয়।
নাগরিকদের বিচার-বিশ্লেষণ তথা সমালোচনামূলক ভূমিকা এবং একটি বহুত্ববাদী সুশীল সমাজ গঠন সম্পর্কে পদক্ষেপ বা প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস বিষয়ক ডিক্লারেশনে, যা অনুপ্রেরণাদায়ক। ওই ডিক্লারেশন ১৯৯৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়। সেই ঘোষণায় জোর দিয়ে বলা হয়- ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রয়াসে প্রচার এবং প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোর অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। এটা ব্যক্তিগতভাবে কিংবা অন্যদের সঙ্গে মিলে করতে পারে।’
মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ওই ক্যাম্পেইনে প্রতিটি দেশের জনগণের স্বাধীনতা থাকা উচিত বলেও উল্লেখ করে মার্কিন দূতাবাস। বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন ‘কোনো দেশের গণতন্ত্রই যথার্থ বা নিখুঁত নয়। কোনো গণতন্ত্র কখনোই চূড়ান্ত নয়। গণতন্ত্রের পথে প্রত্যেকটি অর্জন, প্রতিটি বাধা ডিঙানো- দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং অবিরাম পরিশ্রমের ফল।’