DMCA.com Protection Status
title=""

নেদারল্যান্ড বাংলাদেশ দূতাবাসে কৃষিমন্ত্রীর সামনেই আওয়ামী লীগের ২গ্রুপের সংঘর্ষ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগের বাংলাদেশ দূতাবাসে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সামনেই তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। মন্ত্রীর সামনেই তারা একে অপরকে চেয়ার ছুঁড়ে মারেন।  নিজ নিজ কমিটির পক্ষে বৈধতা আদায়ে দু'পক্ষের ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে নেদারল্যান্ডসে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ বিদ্যমান। একাংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা, চেয়ারম্যান মাহিদ ফারুক। তিনি ও তার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান দীর্ঘদিন ধরে পদ আঁকড়ে আছেন। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন মুরাদ খান। দীর্ঘদিন ধরে নতুন কমিটি না হওয়ায় মুরাদ খান ও তার সমর্থকরা বেজায় ক্ষুব্ধ ছিলেন। শনিবার কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাকের নেদারল্যান্ডস সফর উপলক্ষে প্রবাসী ও উদ্যোক্তাদের পরিচিতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দূতাবাস। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মুরাদ খান পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের জন্য কৃষিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার দাবি, ১৭/১৮ বছর ধরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে আছেন মাহিদ খান ও মোস্তফা জামান।

 

মুরাদ খান কৃষিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য। কাজেই এ সমস্যার সমাধান আপনি করতে পারেন। দলের গঠনতন্ত্রের কথাও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি। বক্তৃতার এক পর্যায়ে মুরাদ খান মোস্তফা জামানকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন। আর তাতে মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কথা কাটাকাটি, হাতাহাতির পর শুরু হয় চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি।  বিব্রত মন্ত্রী এবং অন্যরা সংঘর্ষ থামাতে স্টেজ ছেড়ে ফ্লোরে নেমে আসেন এবং দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে কাজ হয়নি। বিশৃঙ্খলাকারীদের রেকর্ড করা একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দূতাবাসে পদস্থ কূটনীতিকরা মন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গী নারী কর্মকর্তাকে (অতিরিক্ত সচিব) নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন। মন্ত্রীর সামনেই দ্বিতীয় দফায় চূড়ান্ত সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। এক পর্যায়ে মন্ত্রী বিশৃঙ্খলাকারীদের উদ্দেশ্য বলেন, বিদেশের মাটিতে আপনাদের আওয়ামী লীগ করা লাগবে না। আপনাদের আওয়ামী লীগ করার দরকার নাই। কিসের আওয়ামী লীগ করেন আপনারা?
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হেগে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরায় ডিপ্লোমেটিক পুলিশ সরাসরি যুক্ত ছিল। আশপাশের ভবনগুলোতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা রয়েছেন। এমন ঘটনায় ডাচের কূটনৈতিক অঙ্গনে কি রিঅ্যাকশন হয় তা নিয়ে রাষ্ট্রদূত শঙ্কিত বলে জানান।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!