DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সিসিটিভির আওতায় আসবে পদ্মা সেতু!!!

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর একাধিকবার সেতুর ওপরে ও দুই পাড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টোলপ্লাজার বক্স। দুর্ঘটনা রোধ, সেতুর টোল আদায় ও সেতু সংরক্ষণ আধুনিকায়নের কাজে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।

আসছে ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ ক্যামেরা বাসানোর কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ক্যামেরা স্থাপনে সার্ভে শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে অতি ব্যয়বহুল এবং অত্যাধুনিক এই সেতুকে সিসিটিভির আওতায় না এনে এর উদ্বোধন করা কতটুকু যুক্তিসম্মত হয়েছে তা নিয়ে দেশব্যাপী যথেষ্ট আলোচনা চলছে।

এখন পুরো সেতুকে ক্যামেরার আওতায় আনতে ‘অ্যাডভান্স ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’-এর আওতায় টোল ও সেতুর সংরক্ষণ আধুনিকায়নে এখন নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে।চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ করতে চায় সেতু কর্তৃপক্ষ।

ক্যামেরা বসানোসহ আধুনিকায়নের কাজ শেষ হলে সেতু মনিটরিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির নাম্বার প্লেট, আইডেন্টিফিকেশন, গাড়িটি কত কিলোমিটার বেগে যাচ্ছে সবকিছুই জানা যাবে।

গত ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন মিডনাইট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । পরদিন থেকে দেশের দীর্ঘতম এই সেতুটি দিয়ে যান চলাচলের অনুমতি মেলে। এরপর দুর্ঘটনায় সেতুতে প্রাণ যায় দুজন মোটরসাইকেল আরোহীর।

এছাড়া সেতুর দুই পাড়ে একাধিকবার ছোটো খাটো দুর্ঘটনা ঘটেছে। টোল প্লাজার ব্যারিকেড বাঁকা করে ফেলা, টোল বক্সে ধাক্কা দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

 

ঈদে ঘরমুখো মানুষকে পদ্মা সেতু দিয়ে নির্বিঘ্নে পারাপার করতে গিয়ে এসব দুর্ঘটনা ঘটনায় সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও এসব মোকাবিলাও আধুনিকায়নের পরিকল্পনায় গুরুত্ব পাচ্ছে।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেছেন, সেতুতে কিছু খুঁটিনাটি কাজ চলমান রয়েছে। তাই যানবাহনের গতিসীমা কমানো হয়েছে। ৮০ থেকে কমিয়ে ৬০ করা হয়েছে।

এদিকে নতুন এই সিস্টেমে কন্ট্রোল রুমে বসেই সেতুর অপারেশন ও ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, মনিটরিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির নাম্বার প্লেট, আইডেন্টিফিকেশন, গাড়িটি কত কিলোমিটার বেগে যাচ্ছে সবকিছুই জানা যাবে। এই জিনিসগুলোর কাজ চলছে, নকশা পর্যায়ে আছে। আমরা আশা করছি পুরো সিস্টেমটা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে পারব।

আর পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী বলেন, ‘সেতুটি আমরা হস্তান্তর করেছি। তারা (কর্তৃপক্ষ) দেখবে কত মিটার পরপর এবং বর্তমান বাজারে যে হায়েসপিকজেল আছে বা রেজুলেশন আছে এই জিনিসগুলো কনসিডার করে সেটি (ক্যামেরা সিস্টেম) তারা নিয়ে আসবে।’ পুরো সেতুকে এটিএমএস-এর আওতায় আনতে ছয় মাস সময় লাগবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!