ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আমরা সুখে আছি, বেহেশতে আছি বলে মন্তব্য করেছেন মিডনাইট হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। বলেছেন, ‘করোনার পর যুদ্ধে সারা বিশ্বে মন্দার ভাব আসছে। যুদ্ধের ফলে স্যাংশনের মুখে পড়তে হয়েছে। সাপ্লাই চেঞ্জে ব্যাঘাত হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশে মন্দা এসেছে। আমরা সেদিক থেকে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে আছি।’
মন্ত্রী আরও বলেন- ‘গত বছর আমাদের ৬.৯৪ জিডিপি হয়েছে। কোথায় মন্দা দেখলেন। আমার এখনো ইনফ্লুয়েশন রেইট ৬ দশমিকের একটু উপরে। আমেরিকা দেখেন ৯ দশমিক ১। অন্যান্য দেশে অনেক বেশি।তার্কিতে বেড়েছে ৬০ ভাগ। ইংল্যান্ডের লোক কষ্টে আছে। পাকিস্তানে ৩৭ ভাগ। এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান ভালো।’
মোমেন গতকাল দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসন সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব মন্দার কারণে আমাদেরও চ্যালেঞ্জ এসেছে। আমরা যাতে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি, সেজন্য আগেভাগেই কিছুটা সাশ্রয়ী হয়েছি। আমাদের রিজার্ভ কমেনি। আগে ৩, ৪ বিলিয়ন রিজার্ভ নিয়ে গর্ব করতাম। এখন রিজার্ভ হচ্ছে ৪০ বিলিয়নের উপরে। আমরা ৪৮ পর্যন্ত উঠেছিলাম। খরচ হয়েছে। রিজার্ভ উঠা-নামা করবে। ৪০ বিলিয়ন রিজার্ভ প্রচুর বলে জানান তিনি।’ বলেন- ‘আমাদের দেশে সক্ষমতাও বেড়েছে। রিজার্ভ দরকার হয় দরিদ্র দেশগুলোর জন্য। আমেরিকা, সৌদি আরবের রিজার্ভ নেই। কিন্তু তাদের সক্ষমতা অনেক বেশি। আমাদের দেশেরও সক্ষমতা অনেক উপরে।’ এদিকে- বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের তথ্য না দেয়া সুইচ ব্যাংকের মজ্জাগত সমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন- ‘অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে অনেক আগে চিঠি দিয়ে তাদের অর্থের তথ্য চাইলে তারা শুধু একজনের তথ্য দিয়েছিলো। আরও কয়েকবার তথ্য চাওয়া হলেও তাদের রাষ্ট্রদূত বলেছেন তথ্য চাওয়া হয়নি। এই রাষ্ট্রদূত নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন তাই অনেক কিছু জানেন না।’ এর আগে সকাল ১০টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনে এক বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমান ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী, বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান, পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানসহ বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী জানিয়েছেন- প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে রিজিওনাল হাব হিসেবে ব্যবহার করতে উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রানওয়ে বড় করাসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ চলছে। তিনি বলেন, আমরা এতদূর এগিয়েছি যে আগামীতে সিলেট থেকে সরাসরি নিউ ইয়র্কে ফ্লাইট যাবে।