ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে বিএনপির আহ্লাদের আর শেষ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মিডনাইট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস স্মরণে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে শেখ হাসিন বলেন, তারা (বিএনপি) নিজেদের স্বার্থে আন্দোলন করে। এখনো করছে। বলে খালেদা জিয়া অসুস্থ, বিদেশে পাঠাও। আহ্লাদের আর শেষ নেই। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। কিন্তু বয়োজ্যেষ্ঠ, অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারে না। তাই আমি আমার ক্ষমতাবলে তাকে বাড়িতে থাকার অনুমতি দিয়েছি। এখন তিনি সাজুগুজু করে হাসপাতালে যান। আবার ডাক্তাররা রিপোর্ট দেয়, তার অবস্থা খারাপ। লিভার পচে গেছে। কী খেলে লিভার পচে, সেটা আমি মুখ দিয়ে বলতে চাই না, সবাই জানে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার কাছে কোন মুখে চায়? বার বার আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমার নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। তারপরও আমি তো তার ছেলে কোকো মারা যাওয়ার পর গিয়েছিলাম সান্তনা দিতে। মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও তার প্রতি অনেক দয়া দেখানো হয়েছে। আর দয়া দেখানো সম্ভব না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করেছি। এটা না করলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় আরও সমস্যায় পড়তে হতে পারে। অপচয় রোধ করতে হবে। সীমিত করতে হবে সব। এই যুদ্ধের (রাশিয়া-ইউক্রেন) ফলে পৃথিবী আরও ভয়াবহ অবস্থায় যাবে। নিজেদের যতটুকু জায়গা আছে, কাজে লাগাতে হবে, নিজের খাদ্যের জোগান যেন নিশ্চিত করা যায়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনোদিন শ্রীলঙ্কা হবে না, হতে পারে না। শ্রীলঙ্কা যদি হয়, সেটা বিএনপির আমলে হয়েই গেছে। বিদ্যুৎ-পানির সংকট এবং সন্ত্রাস ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল তখনকার বাংলাদেশ। তখন মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ পরিকল্পনামাফিক। যে প্রকল্প মানুষের কাজে লাগবে, দেশের কল্যাণে আসবে, ফিডব্যাক আসবে- এমন প্রকল্পই নিয়েছি। আমরা ধার করে ঘি খাই না।
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে অনেকে বিরুদ্ধাচরণ করছে। তারা কারা? যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সন্তান, ৭৫-এর খুনি ও তাদের সন্তান বা স্বজন এবং কিছু অপরাধী, যারা অপরাধ করে বিদেশ পাড়ি দিয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন রুহুল, সাদেক খান, আব্দুল কাদের খান, শহীদ সেরনিয়াবাত প্রমুখ।