ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, রাজপথ ছেড়ে দেওয়া যাবে না, রাজপথে আমরা থাকব। এটা কারও নিজের সম্পত্তি না। রাজপথে আসুন, বাহাদুরের মতো আসুন।
রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধান ‘হত্যার’ প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল। সমাবেশে নিহত শাওন প্রধানের ভাই ফরহাদ হোসেনও যোগ দেন। তিনি বলেন, শাওন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসময় ফরহাদ নিজে স্লোগান ধরেন- শাওন হত্যার বিচার চাই। যুবদলের নেতাকর্মীরাও তার সঙ্গে স্লোগান ধরেন।
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের খালি হাত, আপনারাও খালি হাতে আসেন। পুলিশ ছাড়া আসেন। দেখি কার কত ক্ষমতা। আর যদি বলেন- লগি-বৈঠা, সেটাও আসেন। আমরা নিয়ে আসব। আমরা জয়লাভ করব। তবে আমি যেটা বললাম, সেটা কথার কথা নয়। সমানে-সমানে লড়াই হবে।
তিনি বলেন, আমাকে এক ছোট ভাই বলেছে- বুক পেতে দিয়েছি, আরও গুলি করও। কিন্তু না আমরা আর গুলি খাওয়ার জন্য বুক পেতে দেব না। আমাদেরকেও বন্দুকের লাইসেন্স দিন।
তিনি বলেন, আমাদের কোনো কর্মসূচি সরকার পতনের জন্য ছিল না। জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এসব কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে ভোলায় নূরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওনকে গুলি করে মারা হলো। সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় গুলি করে আমাদের বহু নেতাকর্মীকে আহত করেছেন, অনেকের নামে মামলা করছেন। তার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশে এখন আগুন জ্বলছে। এই সরকার খুন, হত্যা, হামলা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তাদেরকে টিকে থাকতে হবে। তাদের কথা হচ্ছে, আমি অন্য কিছু বুঝি না। আমার হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা চাই। কারণ ক্ষমতায় থাকলে লুট করা যায়। ব্যাংক লুট করা যায়, মানুষের পকেট কাটা যায়। আর মানুষের ওপর অত্যাচার করা চায়।