ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিডনাইট হাসিনা সরকারের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘যে বন্দুক দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বুকে রক্ত ঝড়াচ্ছেন সেই নল যে কোন সময় ঘুরে যাবে,টেই পাবেন না ৷ এটা বিগত দিনে কোনো স্বৈরাচারী সরকার আগে টের পায়নি, আপনারাও এখন পাচ্ছেন না। তাই সাবধান করছি বন্দুকের নল এখনই সামলে রাখুন।’
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় বিয়াম মিলনায়তনের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন মির্জা আব্বাস।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলীয় নেতা নুরে আলম, আব্দুর রহিম, শাওন প্রধানের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরীর ১৬টি স্পটে ধারাবাহিক সমাবেশের অংশ হিসেবে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবারের শেষ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর ২ টার পর থেকেই মোটা বাঁশের লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে হাতে নিয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্হলে যোগ দিতে থাকে। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।
আব্বাস বলেন, যে বন্দুকের নল দিয়ে গুলি করছেন তাও জনগণের পকেটের টাকা দিয়ে কেনা। তাই বন্দুকের নলের ভয় আর দেখাবেন না। আজকে সব বেরিকেট থেকে আমাদের বেড়িয়ে এসে ঢাকার অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে পড়তে হবে। মিটিং মিছিল করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, এই অধিকার যারা কেড়ে নিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে আমরা তাদের পাশে আছি। বিএনপির কর্মীরা বুক পেতে দিতে শিখেছে। আর ভয় নেই।
তিনি বলেন, দেশে কোনো কিছুই ঠিক নেই। সমস্ত গণতান্ত্রিক কাঠামোগুলোকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসব মেরামত আমাদেরই করতে হবে। কারণ জনগন বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।
নির্বাচন নিয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করেই বিএনপি নিবাচনে যাবে। সরকার নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করে দেখুন বিএনপিকে হারানের ক্ষমতা জনগণকে তাদের দিয়েছে কিনা। ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে যে ইভিএম কিনতে চাওয়া হচ্ছে এই টাকাও বিফলে যাবে।
তিনি অভিযোগ করেন, একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে ইউনিয়ন, জেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে যারা বিএনপির সমাবেশ সফল করতে কাজ করেন তাদের লিস্ট করতে। এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলা পুলিশ সুপারকে। তবে সাবধান করে দিয়ে বলতে চাই এই তালিকা করে যদি নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয় তবে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
মহানগর উত্তর বিএনপি আহবায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ-উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা তাবিথ আউয়াল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, মহানগর নেতা এস এম জাহাঙ্গীর, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আজিজুর রহমান মোছাব্বির প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আমানউল্লাহ আমান সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ভোট ডাকাতির ক্ষমতা থেকে জনগন নামিয়ে আনবে এটা এখন সময়ের দাবি। রাস্তায় নেমে আসুন, এখন থেকে পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে দেখি কাদের শক্তি বেশি।