ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি আওয়ামী লীগের অধীনে হয়, সেই নির্বাচন এ দেশে হতে দেওয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া প্রশ্নই আসে না তাদের পাতানো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি।’
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঠাকুরগাঁওয়ে তার পৈতৃক বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা এদেশে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করতে চায়, যারা ধর্মকে নিয়ে সমস্যা তৈরি করতে চায়, তারাই আজগুবি কথা ছড়াচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু অসাম্প্রদায়িক দেশ নয়, এটি একটি গণতান্ত্রিক ও পবিত্র দেশ। সেই বিশ্বাস আমার নিজের ও আমার দলের। আমার একই চিন্তা, বিএনপির নীতিও তাই! সেই ভাবে আমরা সামনে এগোচ্ছি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কে কী মনে করল না করল- তাতে করে আমার ওপর বা দলের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না।’
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা কি রাষ্ট্র বিশ্বাস করেন? বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে বিশ্বাস করলে দেশের সংবিধানকে বিশ্বাস করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘সংবিধানের মধ্যে যে সমস্ত বিধান রয়েছে, তার মধ্যে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে নাগরিকদের বাক-স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে যত গুম, খুন, হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছে।’তিনি বলেন, ‘র্যাব একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রীয় বাহিনী। র্যাব তো কাজ করতে পারছে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া। যদি স্যাংশন দিতেই হয়, তাহলে সরকারের ওপর দিতে হয়, এখনো সেই কথা বলছি।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘জনগণ আগেই এ অনির্বাচিত সরকারের ওপর স্যাংশন দিয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজের অধিকার আদায় করবে। কথা বলার অধিকার, সভা করার অধিকার বিএনপির আছে। এখানে সরকারের কোনো বাধা মানবে না তার দল। আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ারুল হক, মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, রহিমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতাউর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, সাবেক যবুদল নেতা দুলালসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।