ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) জানিয়েছে, রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবীতে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। পুলিশের মনোবল ভাঙার উদ্দেশ্যে এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গতকাল (শুক্রবার) পুলিশ বক্সে ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি মিরপুর বিভাগ।তারা হলেন- জনি ইসলাম, রাসেল মিয়া, সুরুজ, মো. আক্তার, শমসের উদ্দিন, মো. রনি, মো. কালিম, মাসুদ রানা ও মো. সাম।
তাদের গ্রেফতারের পর বিকালে মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, কিছু বড় ভাইয়ের ইন্ধনে তারা এ হামলায় অংশ নেয়। পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট, মনোবল ভাঙার উদ্দেশ্যে, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এই হামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশ একজন বয়স্ক ও পঙ্গু ব্যাটারিচালিত রিকশা চালককে মারধর করার অপপ্রচারে হামলা করা হয়। পরে অবৈধ রিকশার মালিক, চালক ও মোটর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা উত্তেজনা ছড়িয়ে হামলায় ইন্ধন দেয়। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে কাজ করছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
হারুন বলেন, হামলা ও উস্কানিতে জড়িত অনেকেই ঢাকার বাইরে আত্মগোপন করেছে। কারো কারো নাম পাওয়া গেছে সেটি ধরে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, যারা পুলিশের মনোবল নষ্ট করতে চায়, হামলা করে কার্যক্রম বন্ধ করতে চায় তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে সেই বড় ভাইরা কোনো রাজনৈতিক দলের কি না- এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, পাঁচটি পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুর এবং দুই ট্রাফিক সদস্যকে মারধরের ঘটনায় পল্লবী থানায় গত রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।