ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রোববার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখার তিনটি, পাঞ্জাব প্রদেশের তিনটি এবং করাচি শহরের দুটি আসনে জাতীয় পরিষদ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আটটি আসনের সাতটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন পিটিআই প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরমধ্যে ছয়টিতেই জয় পান তিনি। বাকি একটি আসনে জয় পায় তার জোট।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থী একের অধিক আসনে নির্বাচন করতে পারবেন। কিন্তু জয় পেলে যে কোনো একটি আসন রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দিতে হবে।
উপনির্বাচনে জয় পাওয়ার পরদিনই পাকিস্তান সরকারকে হুমকি দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেছেন, দেশটিতে দ্রুত জাতীয় পরিষদের নির্বাচন দিতে হবে। নয়ত তিনি ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে লং মার্চ করবেন। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারকে ‘কয়েক দিনের সময়’ বেঁধে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সোমবার ইমরান খান বলেছেন, শুধুমাত্র দেশের কথা চিন্তা করে আমি সরকারকে সময় দিচ্ছি। আমি আবারও বলছি, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে তাদের এখনো সময় আছে। যদি তারা না করে আমি আমার মার্চ শুরু করব। প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, মুসলিম লিগ-এনের নওয়াজ শরীফের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে না। তিনি পিটিআইয়ের জনপ্রিয়তাকে ভয় পাচ্ছেন।
পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা খুবই কঠিন। আপনি বালোচ এবং সিন্ধের জাতীয়তাপন্থিদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন কিন্তু কোনো ক্রিমিনালের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন না।
ইমরান খান দাবি করেছেন, এ সরকারের মূল লক্ষ্য হলো তাদের দুর্নীতি মামলা থেকে নেতাদের রেহাই দেওয়া।
সূত্র: দ্য ডন অনলাইন