DMCA.com Protection Status
title="৭

শেখ হাসিনার অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয় : মির্জা ফখরুল

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন আর কোনো বিবাদ নয়, ঝগড়াঝাটি নয়, ‘জাতির প্রয়োজনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। এই আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়, এই আন্দোলন খালেদা জিয়ার নয়, এই আন্দোলন শুধু তারেক রহমানের জন্য নয়, এই আন্দোলন সমস্ত জাতির, এ আন্দোলন আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না এটা পরিষ্কার কথা। আপনাকে (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং সেই কমিশনের অধীনে ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

আজ শনিবার বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  তিনি এসব কথা বলেন। বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সমাবেশ সফল করায় বরিশাল বিভাগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি। এদিকে বিএনপির বরিশাল গণসমাবেশে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড‍্যাব) স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে সমাবেশে স্বাগত আগত অসুস্থ ব্যক্তিদের সেবা প্রদান করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা মুক্তি চাই, এ দেশের মানুষ আর কোনো কথা শুনতে চায় না। ফয়সালা হবে কোথায়? রাজপথে। এই রাজপথে ফায়সালা করে আমরা বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনবো। যেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। যেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আজকে নতুন করে আবার সেই বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনার জন্য বলেছে আমাদের নেতা তারেক রহমান।

বরিশাল অঞ্চলের নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, তার দেননি। বলেছে ১০টাকা সের চাইল খাওয়াবে, তাও দেয়নি; তাহলে আপনাদেরকে নতুন কী দিয়েছে, দুর্ভিক্ষ…। তাছাড়া কী দিয়েছে হামালা-মামালা।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এতদিন ঢোল পিটাইলো এখানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছে। খালি উন্নয়ন, উন্নয়ন, উন্নয়ন এই উন্নয়ন ছাড়া কিছুই দেখছে না বাংলাদেশ। এই উন্নয়নে ৪০ শতাংশ লোক দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে।

কার সঙ্গে খেলবেন? আওয়ামী লীগের কাছে এমন প্রশ্ন রেখে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী দিনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে। আগে পদত্যাগ করে আসুন তারপরে খেলা হবে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে থার্ড ডিভিশনের দল আর বিএনপি হচ্ছে ফাস্ট ডিভিশনের দল। থার্ড ডিভিশন দলের সাথে কি কোন খেলা হতে পারে?

সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের একাংশ।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ব্ল্যাকমেইল করে কেনো লাভ হবে না। তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েও কোনো লাভ হবে না। বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য তার জীবন দিতেও প্রস্তুত রয়েছেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সরকারি দলের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রত্যেকটি জিনিসের পয়েন্টে পয়েন্টে হিসাব করা হবে। জনগণের আদালতে সবকিছুর বিচার হবে। আমরা মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। এবং এ আন্দোলন সফল হবে।’

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে ওই সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাব হোসেন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, হাবিব উন নবী খান সোহেল, বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বক্তব্য দেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!