দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে চরম মানবাধিকার লংঘনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারের ৪ উর্ধতন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
এরা হলেন লেফটেনেন্ট জেনারেল এস এম মতিউর রহমান, মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মো. খায়রুল বাশার, দু’জন অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম এবং শাহাবুদ্দিন খান।
এ সংক্রান্ত গোপনীয় পত্র ইতোমধ্যেই ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌছেছে।
১) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম মতিউর রহমানঃ ১৩তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের কর্মকর্তা। ইনি রাষ্ট্রদূত হবার অপেক্ষায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত আছেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর একদলীয় নির্বাচনের পরে বিরোধী দল দমনে অংশ হিসাবে সাতক্ষীরায় সরকারী বাহিনী কতৃক ক্রাক ডাউন করা হয়। ঐ অভিযান পরিচালনা করা হয় ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমানের নেতুত্বে। তখন বাংলাদেশের পুলিশ, আর্মি, বিজিবি সহ বিভিন্ন বাহিনী ও ভারতের ৩৩ তম ডিভিশনের যৌথ অভিযানে সাতক্ষীরা জেলার ৫টি থানায় আট শত মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই জামায়াতে ইসলামী পরিবারের সদস্য ছিলেন। বুলডোজার দিয়ে মানুষের বাড়িঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়, গরু ছাগল পুড়িয়ে হত্যা হরা হয়, নারীদের সম্ভ্রমহানির ঘটনাও ঘটে।
২) মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোঃ খাইরুল বাশারঃ ২০তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের কর্মকর্তা। রাষ্ট্রদূত হবার অপেক্ষায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত আছেন। বিজিবিতে থাকাকালে ইনি তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজের পলাতক ভাইদের জন্য ভুয়া এনআইডি এবং পাসপোর্ট তৈরী করে দিয়েছিলেন। এছাড়াও বিজিবির পোস্টিংয়ে থাকার সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিলেন।
৩) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক: বিসিএস পুলিশ সার্ভিসের ১৫তম ব্যাচের সদস্য। গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। ২০১৪/১৫/১৬ সালে বাংলাদেশে কৃত্রিম জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে তা দমনের নামে শত শত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন। তাছাড়া মার্কিন নাগরিক অভিজিত হত্যাকান্ডও তারই নির্দেশে ঘটে। আনসারউল্লাহ নাটক সহ জঙ্গি বহু নাটকের হোতা। রিমান্ডে নির্যাতন, গায়েবী মামলা, দলবাজি, গুম, খুন, ক্রস ফায়ারের মূল নির্দেশদাতা।
৪) মো. শাহাবুদ্দিন খান, অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক: বিসিএস পুলিশ সার্ভিসের ১৫তম ব্যাচের সদস্য। ঝিনাইদহের বাসিন্দা। পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বরিশালে ৬শ কিলিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।