ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন ও আকতার বাদলের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, দেশব্যাপাী বিএনপি’র বিভাগীয় সভা-সমাবেশ আর জনসমর্থণ দেখে আওয়ামী লীগ সরকারের ভিত কেঁপে গেছে। যার ফলে ভোট বিহীন নিবাচনের শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে কেন্দ্রীয় নেতা সহ দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে, দায়ের করা হচ্ছে মিথ্যা মামলা।
বক্তারা বলেন, আজ বিজয়ের দিনে যেখানে দেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা আনন্দ উল্লাস করবে, সেখানে আমাদেরকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করতে হচ্ছে। আর এতেই প্রমাণিত হয় হাসিনা সরকার দেশকে এখন কোথায় নিয়ে গেছে। বক্তারা বলেন, যেকোন মূল্যে জিয়া পরিবারকে রক্ষা, দল ও দেশের বিরুদ্ধে সরকারী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে। শেখ হাসিনার সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে।
গত ১৮ ডিসেম্বর রোবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনের লিটন বাংলাদেশ এলাকায় একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল। খবর ইউএনএ’র।
নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপি’র সভাপতি সালেহ আহমদ মানিকের পরিচালনায় সভার সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র জাগপা সভাপতি মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী যুব ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, আনছার আলী চেয়ারম্যান, নোমান সিদ্দিকী, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল মুকুল, নিউইয়র্ক সিটি বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, মীর হোসেন, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ সম্রাট, মোহাম্মদ মনির, মোহাম্মদ তাইবুর রহমান, মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান প্রমুখ।
প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে সভায় উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আনছার উল্লাহ, মোহাম্মদ বিপ্লব, মোহাম্মদ ইউসুফ, ছাবু মিয়া, আবুল কাশেম, নাজমুল হাসান, আবুল খায়ের, ফয়েজ আহমদ, তাহের পাটোয়ারী, আবুল খায়ের, নূর নবী, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ মহিন, মহির আহমদ, মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ নিপুন, মোহাম্মদ ফরহাদ, মোহাম্মদ জি চৌধুরী, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইমাম উদ্দিন, মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মোহন পাটোয়ারী, আবুল বাসার, খায়রুল বাসার, মোছলে উদ্দিন, মোহাম্মদ ভুট্টো, মোহাম্মদ হায়দার আলী, জিয়া উদ্দিন, মাইনুল হাসান সজল, সাফায়েত ইসলাম মামুন প্রমুখ।
সমাবেশে অধ্যাপক দেলোয়ার বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, আসলেই কি আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি? কোথায়, স্বাধীনতার স্বপ্ন, মানবাধিকার, সাম্য। স্বাধীনতার আগে পাকিস্তানীরা দেশ শাসন-শোষন করেছে, আজ আওয়ামী লীগ দেশ শাসন-শোষক করছে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১০ ডিসেম্বর থেকেই হাসিনা সরকারের পতন শুরু হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক জিয়ার নেতৃত্বেই সরকারের পতন হবে।
অধ্যাপক দেলোয়ার বলেন, জনসমর্থনহীন আওয়ামী লীগ সরকার ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চায় বলেই স্বৈরাচারী ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তিনি বলেন, হামলা-মামলা, গ্রেফতার করে বিএনপির জাগরণ স্তব্ধ করা যাবে না। বিএনপির সাথে দেশের জনগণও জেগেছে। তিনি হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবীর পাশাপাশি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবী এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
আখতার হোসেন বাদল বলেন, বাংলাদেশের বিজয় দিবসের কথা বলতে হলে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্মরণ করতেই হবে। জিয়া-খালেদাকে মাইনাস করে দেশের রাজনীতি চলবে না। বাদল অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ যা বলে তা করে না আর যা করে তা বলে না বলেই বিএনপি’র মানবিকতা আর ভদ্রতার সুযোগে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছে, রক্ষীবাহিনীর মতো র্যাব পরিচালনা করছে। র্যাব দিয়ে সন্ত্রাসী-জঙ্গী তৈরী করা হচ্ছে। দেশের ব্যাংক লুটপাট করে সর্বশান্ত করেছে, সর্বত্রই দূর্নীতি। তাই আওয়ামী লীগের সকল অন্যায়-অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি, ঐক্যবদ্ধ থাকবো। বলেন, পরিকল্পিতভাবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাকান্ড চালানো হচ্ছে। জিয়া পরিবার আর দেশ ও জনগণের কোন ক্ষতি বিএনপির নেতা-কর্মীরা বরদাস্ত করবে না। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত দেশের ন্যায় প্রবাসেও আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। সামনে ১/১১-এর চেয়েও ভয়াবহ দিন আসছে। আর আগামী দিনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হবে।