DMCA.com Protection Status
title="৭

আওয়ামী লীগের কোথাও কোনো মুরব্বি নেই, জনগণই আমাদের সবঃ শেখ হাসিনা

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশের মিডনাইট প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা জনগণের শক্তিতেই বিশ্বাস করি। আমাদের কোনো মুরব্বি নেই। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আমাদের মুরব্বি, তারাই আমাদের সব, তারাই জনগণ। এই সাধারণ মানুষের কল্যাণে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

দশম বারের মতো আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরদিন রোববার গণভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যদি খুব স্বাধীনচেতা হয় তবে অনেকেই তাদের পছন্দ করে না। অনেক বড় বড় দেশ, আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীরা কখনো এটা পছন্দ করবে না। কিন্তু আমাদের জনগণকে যদি আমরা ঠিক রাখতে পারি তবে বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি এটা কেউ আটকাতে পারবে না; যেটা জাতির পিতা বলে গিয়েছিলেন কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। কাজেই এটা আপনারা সব সময় মাথায় রেখেই সংগঠনটির ওপর বেশি গুরুত্ব দেবেন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করবেন, এটাই আমার অনুরোধ।

নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া চান টানা দশবারের আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আপনারা আবার নির্বাচিত করেছেন। আমার মনে হয় এতবার একটা পার্টির দায়িত্বে থাকা ঠিক না। তারপরেও এখন যেহেতু বিশ্বব্যাপী একটা দুঃসময়, এজন্যই আমি হয়তো মানা করিনি। কিন্তু আমার বয়স হয়েছে, এটা মনে রাখতে হবে। কিন্তু সংগঠনটা যেন ঠিক থাকে, চলতে থাকে সেই ব্যবস্থাটা করতে হবে। তিনি করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পালটা নিষেধজ্ঞার কারণে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশের প্রতি ইঞ্চি আবাদি জমি ব্যবহারের ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এসব কারণে অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্বকে গ্রাস করছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক ধনী দেশ ইতোমধ্যে নিজেদের মন্দাক্রান্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই সে ফাঁদে পড়া যাবে না। বরং আমরা যদি অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন করতে পারি তাহলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়েও বিভিন্ন দেশে তা রপ্তানি করতে পারি। শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দেশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে খাদ্য আমদানির ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সেভাবেই কাজ করতে হবে।

প্রতিটি জেলা-উপজেলায় কার্যালয় থাকবে : আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় দলীয় কার্যালয় থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় একটি কার্যালয় দলের জন্য প্রয়োজন। যদি তারা অক্ষম হয় তাহলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব ইউনিটকে তাদের অফিস স্থাপনে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। অনলাইনের মাধ্যমে পুরো দেশের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে। তাহলে এক্ষেত্রে কেন আওয়ামী লীগ পিছিয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে যোগাযোগ সহজ করে তুলতে আমি একটি প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি গড়ে তুলতে চাই।

নতুন সদস্য সংগ্রহের ওপর জোর : আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা সদস্য সংগ্রহ করার বই ছাপিয়ে দিয়েছি। এই কাজটা প্রত্যেকটা জেলা-উপজেলা ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যন্ত সবাইকে করতে হবে। মুড়ি বইগুলো ফেরত দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আবার নতুনভাবে টিম করে দেব। বিভাগে বিভাগীয় যে টিম করে দেব তাদের দায়িত্ব থাকবে প্রত্যেকটা জায়গায় সদস্য সংগ্রহ হলো কিনা তা দেখভাল করা। বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলনগুলো যথাসময়ে করার তাগিদ দেন।

জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই : আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা এ দেশের মাটি ও জনগণ থেকে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু বিএনপি সামরিক শাসকদের পকেট থেকে এসেছে, যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছে। এ কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু গণমানুষের ভাগ্য গঠনের দায়িত্ব আওয়ামী লীগের তাই এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা ও কর্মীর দায়িত্ব রয়েছে।

আওয়ামী লীগসহ দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা জানাতে তৃণমূলের নেতারাও গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। গণভবনে নেতাকর্মীদের স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা কষ্ট করে গণভবনে এসেছেন। ধন্য হয়েছে গণভবনের মাটি। এটা আপনাদেরই জায়গা, এই ভবন আপনাদেরই ভবন। এটার নাম আব্বা গণভবন দিয়েছেন কারণ এটা জনগণেরই ভবন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!