ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনকে সার্বিক সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন প্রকার নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমারা।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। এ নিয়েও নানা রাজনীতি করেছে রাশিয়া। নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে ছিদ্র হওয়ার অজুহাতে দেখিয়ে ইউরোপে কয়েকবার তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন পুতিন।
রাশিয়াকে দমানোর জন্য সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে জি-৭ এবং ইইউভূক্ত দেশগুলো। এদিকে এই নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি করতে নাকচ করে দিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে ইউরোপ থেকে মুখ সরিয়ে নিয়ে ভারত এবং চীনের কাছে তেল বিক্রিতে মনোযোগ দিয়েছে রাশিয়া।
তেলের দাম নির্ধারণ করে রাশিয়ার পরিবর্তে নিজেদেরই ক্ষতি ডেকে এনেছে ইইউ এবং জি-৭। অপরদিকে আগের চেয়ে কম দামে তেল কিনতে পেরে লাভবান হচ্ছে ভারত। খবর দ্য ইকোনমিক টাইসের।
রাশিয়ার কাছ থেকে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি তেল কিনছে তুরস্ক, ভারত এবং চীন। তবে এসব দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কেনার আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমারা।
রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অনেকটা নাখোশ ইইউর দেশগুলো। তবে ইতোমধ্যে এ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে দেশটি। দেশটি তাদের মোট জ্বালানির ৮০ শতাংশই আমদানি করে থাকে।