DMCA.com Protection Status
title="৭

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার ক্ষমতা বাংলাদেশে কারো নেইঃশেখ হাসিনা

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ক্রমাগত সরকার পতন ঘটানোর হুঙ্কারের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের উদ্দেশে কড়া জবাব দিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মিডনাইট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার ক্ষমতা দেশে কারো নেই।

আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার মতো কোনো শক্তি বাংলাদেশে এখনো তৈরি হয়নি- এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে এ দেশের মাটি ও মানুষের কাছ থেকে। কাজেই আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক দূর পর্যন্ত আছে। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া, জিয়া, খালেদা জিয়াসহ অনেকেই চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে কিন্তু পারেননি। পারবেও না। আওয়ামী লীগ টিকে আছে, থাকবে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত সম্পূরক প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম। তিনি এক-এগারো পরিস্থিতি তুলে ধরে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চান। 

জবাবে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমানে তেমন কোনো পরিস্থিতি নেই। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে এ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল, ঠিক সেইভাবে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অত্যাচার-নির্যাতন চলেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর হামলাসহ দেশব্যাপী নাশকতা চালিয়েছে। এরপর এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরির মাধ্যমে তারা আবারো ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। জনগণ তা প্রতিহত করেছিল। বিএনপির চরম দুঃশাসনের কারণে এক-এগারো এসেছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সরকারদলীয় সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করে বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য নিম্নআয়ের মানুষের নিত্যপণ্য কেনার ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় অসৎ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মুক্তির জন্য সমবায় মালিকানার ওপর গুরুত্ব দেবেন কিনা’।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সংসদ সদস্যের (প্রশ্নকর্তা) সঙ্গে একমত আমাদের কিছু ব্যবসায়ী যারা এ ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা করেন; আসলে এটা খুব দুর্ভাগ্যের বিষয় রোজা-রমজান মাসে কিংবা বিভিন্ন চাহিদার মাসে তারা যে করেই হোক জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে উৎসব পার্বণে সব সময় তারা দাম কমায়। আর আমাদের দেশে দেখি উল্টো। 

তিনি বলেন, শুধু তাই নয়; অনেক সময় তারা পণ্য আমদানি করতে একটু ঢিলেমি করে, জিনিসের দাম বাড়িয়ে, চাহিদা বাড়িয়ে তারপর তারা ব্যবসা করতে চায়। এটা আসলে অমানবিক। 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আসলে আমাদের দেশের অর্থনীতি তিন ধরনের। সরকারি, বেসরকারি এবং সমবায়ভিত্তিক। এখানে ভোগ্যপণ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!