DMCA.com Protection Status
title="৭

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র উধাও হয়ে যায়ঃমির্জা ফখরুল

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের গণতন্ত্র উধাও হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরেছে। তারাই আবারো ক্ষমতায় যেতে চায়। এই দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা দেখেছি মানুষ এই সরকারের পতন দেখতে চায়। আমাদের মা-বাবা ভাই-বোনদের রক্ত ও অশ্রু বৃথা যাবে না। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে বিজয় অর্জন না করে ঘরে ফিরবো না। ৭৫-এর আগেও গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল, জিয়াউর রহমান এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৮৭ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি’র পক্ষ থেকে এ সভার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি এতই বেড়েছে যে, যাদের পায়ে চপ্পল (জুতা) ছিল না তারা এখন রোড মাস্টার নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছে।

 মির্জা ফখরুল বলেন, বিজয় কিবোর্ড মোবাইলে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, কারণ এর মালিক আব্দুল জব্বার মন্ত্রী। একজন মন্ত্রীর কোম্পানি সরকারের লাভজনক প্রক্রিয়ায় জড়িত হওয়া এটা ভয়ঙ্কর দুর্নীতি। পত্রিকায় দেখলাম লন্ডনে বেশি বাংলাদেশিরা বাড়ি কিনছে। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের সুবিধাভোগী, লুটেরা। রাজধানীর শাহীনবাগে বিএনপি কর্মী সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসার সামনে ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ঘিরে আলোচনায় আসা ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন দিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে নতুন করে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের মূল ইতিহাস বিকৃত করছে। গণতন্ত্র ও অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। আজকে দেশে দুর্ভিক্ষের অবস্থা। গত ১২ বছরে আমাদের ৬০০ জন গুম করেছে লক্ষাধিক মামলা ৩৭ লাখের অধিক নেতাকর্মী আসামি। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনে আছি। আমরা দশ দফা দিয়েছি সেখানে প্রথম দফাতে এই সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলা আছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি’র জনস্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। বিএনপি’র জোয়ার থামবে না। থামানো যাবে না। 

বিএনপি’র সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এখন ‘তালা চাবির এনামুল’ হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা যারা কারাগারে ছিলাম তাদের একটা অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের কোনো কিছু ভেঙে গেলে, যেকোনো দরকারে মাইকে ডাকা হতো তালাচাবির এনামুল হাজির হন। যেকোনো সমস্যায় সে এক হাতে সব কাজ করে দিতো। আওয়ামী লীগের এখন সেই অবস্থা তালাচাবির এনামুলের মতো। তারা একহাতে গুম-খুন করছে। মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অথচ আমরা কখনো বলিনি যে, আমরা নির্বাচনে যাব না। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি আওয়ামী লীগের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করে তারপর নির্বাচনে যাব। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম ১৬ থেকে ৩২ টাকা করা হয়েছে বাপের তালুকদারি। এতে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যাবে। জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তিনি বলেন, আমরা কখনো বলিনি যে টুকা দিয়ে, ধাক্কা দিয়ে সরকারের পতন ঘটাবো, আমরা বলেছি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবো। বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন এ্যানির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, শাহাজাহান ওমর, আহমেদ আজম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!