DMCA.com Protection Status
title="৭

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি : মির্জা ফখরুল

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,বাংলাদেশের জনগণের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান,বীর উত্তম। যিনি জাতির ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। আমরা তাকে শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করেন।

সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। তিনি যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে নিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে ৭ নভেম্বরও তিনি জাতির ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরেছিলেন। হতাশাগ্রস্ত জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ায় বাংলাদেশের মানুষ নতুনভাবে উজ্জীবীত হয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তিনি একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি উপহার দিয়েছেন। আজকে আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে দেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, তাকে আমরা বেশি দিন পাইনি। বাংলাদেশের শত্রুদের হাতে তিনি শহীদ হয়েছেন। বর্তমানেও আমরা তার আদর্শ ও ১৯ দফাকে সামনে রেখে পথ চলছি। আজকেও ক্ষমতাসীন সরকারের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টার বিরুদ্ধে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। জাতি আজ সঙ্কটে। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইনশাআল্লাহ আমরা সেই লড়াই সংগ্রামে জয়ী হবো।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির মোঃ আব্দুস সালাম, ঢাকা উত্তরের আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুইয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, আবু বকর সিদ্দিক, ফজলুর রহমান খোকন সহ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. মোঃ আব্দুস সালাম, মৎস্যজীবী দলের মোঃ আব্দুর রহিম, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, ওমর ফারুক পাটেয়ারি, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, আবুল খায়ের খাজা, কাজী মোঃ আমীর খসরু, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মাহবুব আহমেদ বাদল, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, শাম্মি আখতার, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডা. পারভেজ রেজা কাকন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, আবু আফসান ইয়াহিয়া প্রমুখ।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!