ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রেকর্ড পরিমানে চিনির দাম বাড়ানোর বিষয়ে মিডনাইট হাসিনা সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন,এই দাম বাড়ানো না হলে বাজারে চিনি পাওয়াই যাবে না।
সব হিসাব-নিকাশ করে চিনির দাম যতটুকু বাড়ানো দরকার ততটুকু বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রাজধানীতে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। এদিকে হঠাৎ করে চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় পণ্যটির পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন। তারা প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজির দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১১২ টাকা এবং খোলা চিনি প্রতি কেজির দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা নির্ধারণ করেছে। নতুন এই দাম ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন সংগঠনের নেতারা। সর্বশেষ গত বছরের ১৭ই নভেম্বর প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৩ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা করা হয়। আগে দাম ছিল ৯৫ টাকা। দাম কেন বাড়ানো হলো এবং এই সিদ্ধান্তের কারণে ভোক্তার ওপর চাপ আরও বাড়বে কিনা, এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দাম তখনই বাড়ানো হয় যখন প্রয়োজন হয়।
আমাদের ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আছে, তারা এগুলো হিসাব করে। যে দামটা হওয়া উচিত সেটা হিসাব-নিকাশ করেই তারা কিছুটা বাড়িয়েছে। যদি এটা বাড়ানো না হতো, তাহলে ফলাফল হবে কী? বাজারে চিনিই পাওয়া যাবে না। সেসব বিবেচনা করে তারা দাম বাড়িয়েছে। দেশের চিনির কলগুলো উৎপাদন বন্ধ করে দেয়ায় এই সমস্যা আরও বড় হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে টিপু মুনশি বলেন, এর কোনো প্রভাব নেই। দেশে যারা চিনি উৎপাদন করেন, সেটা স্থানীয় চিনির চাহিদার ১ শতাংশও না। সেটা আমাদের চিনির ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব বিস্তার করে না। আমাদের ২০ লাখ টন চিনি দরকার। আমাদের উৎপাদন ৫০ হাজার টনও নয়। এটা আসলে কোনো প্রভাব বিস্তার করে না। আমাদের নির্ভর করতে হয় আমদানির ওপর। বিশ্ব বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। যার জন্য সমস্যাটা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি, যেন ডিউটি (শুল্ক) কমিয়ে দেয়া হয়। ডিউটি কমানো হলে বাজারে প্রভাব দেখা যেতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম যৌক্তিক করা যায় কিনা সেটা নিয়ে কাজ চলছে। টিপু মুনশি বলেন, ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন দাম বাড়ালেও তারা (বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন) সাপ্লাই চান। দাম যেটা বাড়ানো হয়েছে সেটা তাদের জন্য একটু বেশি হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তারা কথা বলবেন। তারা আমাদের জানিয়েছেন। আমরাও আমাদের রিপোর্টটা তৈরি করছি। আমরা দেখি কমানো যায় কিনা।