ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করা প্রসঙ্গে মিডনাইট হাসিনা সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, 'তিনি একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতা, দুইবারের প্রধানমন্ত্রী, কেন তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না? রাজনীতিবিদ তো রাজনীতিবিদই, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ- তাই খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও রাজনীতি করতে পারবেন। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা সেটা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন।'
বুধবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের পক্ষ থেকেও খালেদা জিয়ার রাজনীতি সম্পর্কে এমন অভিমত পাওয়া গেছে। যদিও আওয়ামী লীগের আরেকজন নীতিনির্ধারক জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, রাজনীতি না করার শর্তে খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিয়েছে সরকার।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কিনা, রাজনীতি করতে পারলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা- এসব বিষয় আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের একজন ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তাঁর রাজনীতির ক্ষেত্রে বাধা নেই। নির্বাচনের বিষয়ে কী হবে সেটা আইন ঠিক করবে। তিনি বলেন, 'সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী নির্বাচন হবে। নির্বাচনে যদি জনগণ আমাদের ভোট না দেয়, আমরা স্যালুট দিয়ে চলে যাব।'
এ সরকারের অধীনে 'ফোরটোয়েন্টি' মার্কা নির্বাচন করতে দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'মান্না কেন- সেটা বহুদিন আগে থেকে আরও বড় নেতারাও বলেছেন, মান্নার পার্টি তো খুবই ছোট। এই পার্টি কী বলছে সেটা নিয়ে আমরা এতটা মাথা ঘামাচ্ছি না। একই কথার পুনরাবৃত্তি করছি- সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।' তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আছেন, নির্বাচন পর্যন্ত থাকবেন। নির্বাচন হবে, সময়ের মধ্যেই হবে। সংবিধানের বাইরে কারও কিছু করার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী আরও বলেন, 'বিএনপি ২০১৪ সালে টানা ৯ মাস হরতাল পালন করেছে। গাড়ি পুড়িয়েছে, পৈশাচিকভাবে মানুষ পুড়িয়েছে। কই আমরা তো পালাইনি। পালানোর কোনো সুযোগ নেই।'
জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আম নেবে। এ ছাড়া শাকসবজি এবং অন্যান্য ফলও নেবে। এখন জাপানে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য যায় না। তাদের দেশে পাঠানো পণ্যে তাদের মতো মান নিশ্চিত করতে হবে। সেগুলো নিয়ে দুই দেশ কাজ করছে। আমের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে। তিনি আরও বলেন, 'আমরা জাপান থেকে অনেক কৃষি যন্ত্রপাতি আনি। আমরা চাচ্ছি জাপানি কোম্পানিগুলো যেন বাংলাদেশে তাদের ইন্ডাস্ট্রি করে। এরই মধ্যে এগ্রিকালচার মেশিনারি কোম্পানি ইয়ানমার বাংলাদেশে কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপার ট্রান্সপ্লান্টের কারখানা এসিআইর সঙ্গে করছে। তাড়াতাড়ি এটির কার্যক্রম শুরু করবে।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানে যাবেন জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকারপ্রধানের সফরে একটি চুক্তি সই হবে। জাপানের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার পরিধি পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। বাংলাদেশে পাওয়ার টিলার প্রথম জাপান থেকেই আসে।