ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারা না পারার প্রশ্নে কয়েক দিন ধরে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তাঁদের এ ধরনের বক্তব্যকে অযৌক্তিক বলে বর্ণনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের সিনিয়র মন্ত্রীরা যখন স্ববিরোধী কথা বলছেন, তখন প্রমাণ হয় যে অনির্বাচিত এই সরকার দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহির অভাব থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে নানা অযৌক্তিক কথা বলছেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ এবং সে কারণে তিনি রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে রয়েছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, সরকার খালেদা জিয়াকে সাজা থেকে রেহাই দেয়নি। শুধু শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে বাসায় থাকতে দিয়েছে। ফলে তিনি কারামুক্ত নন। যে কারণে বিএনপির চলমান আন্দোলনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি রয়েছে।
একই সঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল মনে করেন, খালেদা জিয়া কার্যত কারাবন্দী। সরকার কৌশল করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলে এলেও তাঁর মামলা প্রত্যাহার হয়নি, সাজাও বাতিল করা হয়নি।
এদিকে গত কয়েক দিনে সরকারের অন্তত চারজন মন্ত্রী বিএনপি নেত্রীর রাজনীতি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবারেও তিনজন মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।
খালেদা জিয়া অসুস্থ না হলে কারাগারে থাকতেন, তাঁর রাজনীতি করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না, এ কথা তাঁর মুক্তির শর্তে বা কোথাও বলা নেই। এর আগে গত বুধবার কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে কোনো বাধা নেই।
চারজন মন্ত্রীর মধ্যে দুজনের বক্তব্য এক রকমের। অন্য দুজনের বক্তব্য ভিন্ন। একই বিষয়ে সরকারের মন্ত্রীদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সরকারের মন্ত্রীদের একেকজনের একক রকম বক্তব্যকে স্ববিরোধিতা বলে উল্লেখ করেছে বিএনপি।