ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সক্রিয় নাগরিক সমাজ তথা মুক্তভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে মন্তব্য করেছে সফররত জার্মান সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তাদের মতে, গণতন্ত্রে সুষ্ঠু নির্বাচন, মিডিয়া ও নাগরিক সমাজের অবাধ কর্মপরিবেশ অপরিহার্য। ঢাকা সফরে এমন বার্তাই খোলাসা করেছেন বুন্দেস্তাগের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
সফররত ছয় সদস্যের সংসদীয় জার্মান দল এবং ঢাকাস্থ দেশটির রাষ্ট্রদূত আখিম টোস্টার জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে জার্মান পার্লামেন্টের সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কাজের ক্ষেত্র বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ঢাকাস্থ জার্মান রাষ্ট্রদূত শনিবার এক টুইট বার্তায় সেই আলোচনার খানিকটা প্রকাশ করেন। জার্মানির পার্লামেন্টে দক্ষিণ এশীয় সংসদীয় দলের সভাপতি রেনাটা কুনষ্টের নেতৃত্বে সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ে উপস্থিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা জানান, দুই পক্ষ খোলামেলাভাবে একে অন্যের কথা শুনেছেন। কূটনৈতিক সূত্র বলছে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মত প্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে এখানকার সবশেষ পরিস্থিতি শোনার পর জার্মানির সংসদীয় দলটি তাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে। বিশেষ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মানবাধিকার লংঘন, মত প্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি নাগরিক সমাজের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়াটা উদ্বেগের বলে মন্তব্য করে জার্মান সংসদের প্রতিনিধিরা।
তাদের মতে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য । এক্ষেত্রে গণমাধ্যমসহ নাগরিক সমাজের অবাধে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করাটা জরুরি।