ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের (ভিএম) দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবককে অপদস্থ করার অভিযোগ ওঠার পর সেখানকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তাঁকে সংযুক্ত করা হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিচার বিভাগীয় এই কর্মকর্তার বদলি সংক্রান্ত সরকারের প্রস্তাবের সঙ্গে আদালত একমত হয়েছে।
২৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা রুবাইয়া ইয়াসমিন ২০০৮ সালের ২২ মে চাকরিতে প্রবেশ করেন। বগুড়ায় ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে বদলি হয়ে আসার আগে তিনি নাটোর জেলায় সহকারী জজ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক হিসেবে এ বছর রুবাইয়া ইয়াসমিন তিনটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
গত ২০ মার্চ ভিএম স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস দিয়েও সহপাঠীদের সঙ্গে ফেসবুকে মেয়েটি ঝগড়ায় জড়ায়। যার জেরে পরদিন বিচারক রুবাইয়ার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের সামনেই দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবককে অপদস্থ করার অভিযোগ ওঠে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হুমকির জেরে দুই অভিভাবক ওই বিচারকের পা ধরেও ক্ষমা চান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্কুলটির শিক্ষার্থীরা। পরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াছমিন সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করেন।
ঘটনা তদন্তে গত বুধবার জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। কমিটি আগামী রোববার থেকে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।