DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গনতন্ত্র দূর্বল কিন্তু বাংলাদেশের গনতন্ত্র পরিপক্কঃআব্দুল মোমেন

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশের গণতন্ত্র অত্যন্ত পরিপক্ব হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা রয়েছে মন্তব করেছেন মিডনাইট হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র দুর্বল। তাই দেশটি গণতন্ত্রকে আরো সোচ্চার করতে দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে গণতন্ত্র-নির্বাচন প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে সরকার উদ্বেগ রয়েছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে আমাদের ইমেজ বেড়েছে। সবাই এখন আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায়, ব্যবসা বাড়াতে চায়। আমরা চাই স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন হোক। যুক্তরাষ্ট্রও চায়। তাদের দেশে গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা। গত নির্বাচনে (মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন) তাদের দেশের অন্য দল বিশ্বাসই করেনি আমেরিকার নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে।

 

ড. মোমেন বলেন, তাদের দেশে গণতন্ত্র দুর্বল। তাই তারা গণতন্ত্রকে আরো সোচ্চার করতে দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে। আমরাও চেষ্টা করছি। এসব যদি তারা বলেন, নাথিং রং। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার জন্য আমরা স্বচ্ছ ইনস্টিটিউশন তৈরে করেছি। স্বচ্ছ ব্যালেট বাক্স তৈরি করেছি, ছবিযুক্ত ভোটার আইডি করেছি।

গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না। কারণ, আমরাই একমাত্র দেশ যারা গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায় বিচারের জন্য মানবিকতার জন্যে ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছি। এটা অনেকে ভুলে যান, অন্য কেউ এত প্রাণ দেয় নাই। বাংলাদেশের গণতন্ত্র অত্যন্ত পরিপক্ব। শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হয়েছে। বিএনপি সরকারের আমল তথা ২০০১-০৬ শাসন আমলে দেশে গণতন্ত্র ছিল না অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০০১-০৬ সালে গণতন্ত্র ছিল না। তখন জিহাদী ছিল, সন্ত্রাসী ছিল।

 

আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বার্তা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনা সরকারে অধীনে অনেক নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো স্বচ্ছ হয়েছে। এক হাজারের মধ্যে পাঁচটা হয়তো প্রশ্নবিদ্ধ, আর সব স্বচ্ছ হয়েছে। আমরা আশা করি, আগামীতেও আমাদের নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। শেখ হাসিনা সরকার সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। তবে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের একার দায়িত্ব নয়। যারা ভোটার তাদের দায়িত্ব, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী যারা নেতৃত্বে থাকবেন তাদের দায়িত্ব। আরও বড় দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দলের।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বাধীনতা দিবসে পাওয়া শুভেচ্ছা বার্তা গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচন প্রসঙ্গের উল্লেখে সরকার চাপ অনুভব করছে কী না? -এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাপ অনুভব করি না। আপনারা মিডিয়া চাপ অনুভব করতে পারেন। আমরা দেশের মানুষের জন্য যেটা ভালো, সেটাই করি। দেশি মানুষকে বিশ্বাস কির, বিদেশি কে মাতব্বরি করল, সেটা আমাদের।

র‌্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা চলাকালেই বাহিনীটির হেফাজতে সুলতানা জেসমিন মৃত্যুর ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। এ ধরনের দুর্ঘটনা আমেরিকায় প্রতিদিনই হচ্ছে। এ সপ্তাহে স্কুলে বাচ্চা মেরে ফেলেছে। এ নিয়ে কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে? এ ধরনের ঘটনা হঠাৎ করে হতে পারে। তবে পত্রিকার মাধ্যমে এ ঘটনা জানলাম। সত্য-মিথ্যা জানি না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও র‌্যাব বলতে পারবে।

এর আগে, জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে কানাডার ‘বেগম পাড়ায়’ সম্পদের পাহাড় গড়াদের তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি সরকারদের একটি আইন আছে, প্রাইভেসি অ্যাক্ট। এ আইনের মাধ্যমে তারা আমাদের দেশের লোকেরা যারা টাকা নিয়ে গেছে, তাদের তথ্য দিতে নারাজ। ইনডিরেক্টলি তারা এটা নিরুৎসাহিত করে। তিনি বলেন, টাকা নিয়ে ওই দেশে যারা যায় তাদের তথ্য বিদেশি সরকার আমাদের দেয় না। সরকারি তথ্য না হলে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, সেগুলো বেসরকারি তথ্য। বেসরকারি তথ্যের বেসিসে আপনি খুব একটা অ্যাকশন নিতে পারবেন না।

বিদেশি সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার তথ্য চেয়েছে কী না? -জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আমরা চেয়েছি, তারা তাল বাহানা করে। তারা একটা না একটা আইন দেখায়। তবে এটার দায়িত্ব কিন্তু দুদকের। তারা এগুলো দেখবে। তারা বড় সংস্থা, তাদের টাকা পয়সা আছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!