ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল করেছে বিএনপি। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি রাষ্ট্রদূত ব্রেইন ইস্পাইনার, জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার, সুইডিস রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি এসিস বেনিতেজ সালাস, কসোভোর রাষ্ট্রদূত গানার ইউরেয়া, নরওয়ে দূতাবাসের সচিব স্লাইজে ফিন্স ওয়াননেবো, ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী, ভারতের উপ-হাইকমিশার বিনয় জর্জ, ভারতীয় হাইকমিশনের মিনিস্টার (কনসুল্যার ও শিক্ষা) রাজেশ কুমার অগ্নিহোত্রী, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক ও তথ্য) অনিমেষ চৌধুরীসহ বিদেশি কূটনীতিকেরা অংশ নেন। সৌদি দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ ৩০টি দেশের প্রতিনিধি ইফতার মাহফিলে অংশ নেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গতকাল হোটেল ওয়েস্টিনে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতারা কূটনীতিকদের অভ্যর্থনা জানান। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ছাড়াও ইফতারে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরাও অংশ নেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম তার বক্তব্যে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ লড়াই করছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। অতি সম্প্রতি ১৭ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের আন্দোলন চলছে।
ইফতারে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, এএসএম আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, গোলাম আকবর খন্দকার, এনামুল হক চৌধুরী, ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজন কুমার সরকার, আবদুল কাইয়ুম, খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান সারোয়ার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমূল বিশ্বাস, শামা ওবায়েদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, জহির উদ্দিন স্বপন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ইশরাক হোসেন, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, মীর হেলাল, মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, ড. শাহদীন মালিক, ড. দিলারা চৌধুরী, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. সাহেদজ্জামান, ড. নাসের বখতিয়াসহ বিশিষ্টজনরা ইফতার মাহফিলে অংশ নেন।