ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় নরেন্দ্র মোদি সরকার বেশ চাপের মুখে পড়েছে। প্রশ্ন উঠতে আরম্ভ করেছে ভারতে গণতন্ত্রের স্বরূপ নিয়ে।
আমেরিকা ও জার্মানি এই বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আগেই ব্যক্ত করেছিল। এবার রাহুল ইস্যুতে তার পাশে দাঁড়ালো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাদের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে তারা। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা উচিৎ, কাজ নয়। রাহুল গান্ধীর বিষয়টি এখনও শেষ হয়নি। আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাই এই ব্যাপারে শেষ কথা বলার সময় হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটু সহিষ্ণুতার পরিচয় দিলেও জার্মানি এবং আমেরিকা কিন্তু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে যে, ভারতে গণতন্ত্রের অবস্থা ঠিক কী রকম তার পরিচয় যেন বহন করছে রাহুল গান্ধীর বহিষ্কারের বিষয়টি। এই ব্যাপারে অনেক ভাবনা-চিন্তার অবকাশ ছিল।
সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক পরিবেশে বিরোধীদের জোর করে মুখ বন্ধ করা উচিৎ নয়। মোদির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এ বিষয়ে বলেছেন, বিদেশী রাষ্ট্রগুলো নিজের চরকায় তেল না দিয়ে অন্য রাষ্ট্রের ভালো -মন্দ নিয়ে মাথা ঘামানো বন্ধ করুক। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রের মাথা না ঘামানোই ভালো। বিজেপির অনেক সংসদ সদস্য বিদ্রুপ করে বলছেন, ভারতের নিজের বিষয়ে বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য রাহুল গান্ধীকে ধন্যবাদ।