DMCA.com Protection Status
title="৭

বাঙ্গালী সংস্কৃতির সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো বিরোধ নেই: কে এম খালিদ

 ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিডনাইট হাসিনা সরকারের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন,বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও ধর্ম স্বতন্ত্র বিষয়, একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো বিরোধ নেই।
তিনি বলেন, আমরা প্রকৃতি থেকে সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করি, শিক্ষা নিই। অন্যদিকে, সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করে থাকি। একটির সঙ্গে অন্যটির কোনো দ্বন্দ্ব নেই।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী (১১-২০ এপ্রিল) ‘বৈশাখী মেলা ১৪৩০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিসিকের চেয়ারম্যান মুহ: মাহবুবুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময়ে কিছু ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পহেলা বৈশাখের বিরোধিতা করেছিলো। পাকিস্তান সরকারের আমলে একবার পহেলা বৈশাখ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সেই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা একটি গোষ্ঠী আবারও পহেলা বৈশাখের পেছনে উঠেপড়ে লেগেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা যেটি ইতোমধ্যে ইউনেস্কো'র বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে সেটিকে নিষিদ্ধকরণের জন্য একজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরো বলেন, নতুনকে বরণ করার উদ্দেশ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে বৈশাখী মেলা একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। এতে মানুষের প্রগতিশীল চেতনা জাগ্রত হয়।
পহেলা বৈশাখে প্রতিহত করার জন্য কিছু ধর্মান্ধ গোষ্ঠী নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে বর্তমান সরকারের তৎপরতার কারণে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন পহেলা বৈশাখের দু'টি প্রেক্ষাপট অর্থাৎ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং বাংলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এই মেলার।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিসিকের উদ্যোগে দেশের কারু শিল্পীদের মধ্যে তাদের কাজের দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরুপ কারুশিল্পী পুরস্কার-১৪২৯ প্রদান করা হয় যার মধ্যে ১ জন শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পীকে কারুরতœ এবং ৯ জন দক্ষ কারুশিল্পীকে কারুগৌরব পুরস্কার প্রদান করা হয়। মেলায় মোট স্টল থাকছে ৮৮ টি যার মধ্যে চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য-১৩টি, ফ্যাশন/বুটিকস পণ্য-৪৮টি, খাদ্যজাত পণ্য-১০টি, বাঁশ, বেত ও হস্তশিল্প-৫টি, বিসিক মধু-২টি, কমর্রত কারুশিল্পী-১০টি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!