ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মিডনাইট হাসিনা সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধানের বাইরে বিদেশীদের দেওয়া ফরমায়েশি গণতন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের পাঁয়তারা করছে।
গতকাল বুধবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদককের সঙ্গে সম্পাদকমন্ডলীর ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের যৌথ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি যতো শক্তির কাছেই বিএনপি ধরনা দিক না কেন, কোনো ফরমায়েশি গণতন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে অশুভ শক্তির অশুভ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বিএনপির নেতৃত্ব যে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তা মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের, অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়া যেন নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট না করতে পারে, সে জন্য সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে অশুভ শক্তি কাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতা আবারও শুরু হয়েছে। পরপর কয়েক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা তো অগ্নিসন্ত্রাসের মতোই। মার্কেটে কী আগুন লেগেছে নাকি লাগানো হয়েছে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মার্কেট গুলোতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাহারায় থাকবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র, সংবিধান ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আপসহীন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়ার আশঙ্কা আছে। ১৩-১৪-১৫ সালের মতো পদধ্বনি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। দেশব্যাপী বিক্ষোভ, পদযাত্রা, মানববন্ধনে জনসমর্থন আদায় করতে পারেনি বিএনপি। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।
আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কেও কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারো ফরমায়েশি গণতন্ত্র বাংলাদেশে চলবে না। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি ইইউ, মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ সবাইকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন হবে সংবিধান মাফিক, পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। দেশব্যাপী অসা¤প্রদায়িক শক্তির ঐক্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি চায় দেশে অস্বাভাবিক সরকার আসুক। তারা আবারও আগুন নিয়ে খেলা শুরু করল। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা শেখ হাসিনাকে হঠানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম প্রমুখ।