DMCA.com Protection Status
title="৭

পাকিস্তানে ইমরান খান গ্রেফতারঃএকজন জেনারেলের বিরুদ্ধে তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ!

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  গ্রেপ্তারের আগে দায়িত্বে থাকা একজন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দ্বিগুণ করলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দুটি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে বের হওয়ার আগে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ করেন। ইমরান খানের অভিযোগ, কয়েকবার তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র সাজিয়েছিলেন ওই সেনা কর্মকর্তা। মঙ্গলবার ইমরান খান রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং একটি হত্যাচেষ্টার মামলায় হাজিরা দিতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যান। কিন্তু সেখানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এদিন ইসলামাবাদের উদ্দেশে যাত্রার আগে ইমরান খান তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি ওই সেনা কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে জোরালো বক্তব্য দেন। একদিন আগেই ইমরান খানের এ জাতীয় বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বিবৃতি দেয় ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর)। তাতে বলা হয়, কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়া সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইমরানের এমন বক্তব্য চরমভাগে দুর্ভাগ্যজনক, নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। 

শনিবার এক র‌্যালিতে ইমরান খান আরও একবার সিনিয়র ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। বলেন, তিনিই তাকে হত্যার পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। ইমরানের ভাষায়- জীবনের প্রতি সুনির্দিষ্ট হুমকি সত্ত্বেও আমি রাস্তায় নেমেছি।

একবার হত্যাচেষ্টা থেকে এরই মধ্যে রক্ষা পেয়েছি। দ্বিতীয়বার হত্যা পরিকল্পনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। এ জাতীয় অভিযোগ ইমরানের এটাই প্রথম নয়। গত বছর তাকে হত্যা চেষ্টার পর প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং সেনাবাহিনীর সিনিয়র একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে এর জন্য দায়ী করেন। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি করেন তিনি। 

 


যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হলো ইমরানকে


মঙ্গলবার আইএসপিআরের বিবৃতির জবাবে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন ইমরান। তাতে তিনি বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় আছে (ক্ষমতাসীন জোট) পিডিএম এবং তাদের ‘হ্যাল্ডেলাররা’। তবু তিনি দুটি মামলায় হাজিরা দিতে যাচ্ছিলেন ইসলামাবাদে। এ সময় তিনি বক্তব্যে বলেন, ‘আমি বেরিয়ে যাওয়ার আগে দুটি জিনিস বলতে চাই। এক হলো, আইএসপিআর একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানকে (সেনাবাহিনী) অসম্মান করা হয়েছে। একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার নাম করায় সেনাবাহিনীকে অসম্মান করা হয়েছে। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আমাকে দু’বার হত্যার চেষ্টা করেছে। আইএসপিআর সাহেব, সতর্কতার সঙ্গে আমার কথা শুনুন। সম্মান একটি একক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সম্মান প্রতিজন নাগরিকের ক্ষেত্রে থাকা উচিত’। 

ইমরান খান স্মরণ করে দেন, তিনি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান। তার মিথ্যা কথা বলার দরকার নেই। তিনি বলেন- ‘ওই ব্যক্তি (গোয়েন্দা কর্মকর্তা) আমাকে দু’বার হত্যার চেষ্টা করেছে। যখনই এ নিয়ে তদন্ত হবে, আমি প্রমাণ দেবো যে, এই সেই ব্যক্তি এবং তার সঙ্গে পুরো একটি গ্যাং আছে। আমার প্রশ্ন হলো দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও, যেহেতু এই ব্যক্তির নাম এসেছে, তাহলে কেন আমি তার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারবো না? তদন্ত হলে এ বিষয়ে সত্য বেরিয়ে আসবে। যদি তিনি নিরপরাধ হন, তাহলে তা প্রকাশ করা উচিত’। 
ইমরান খান অভিযোগ করেন, ওয়াজিরাবাদে তার ওপর হামলার তদন্তে পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকার যৌথ তদন্ত টিম গঠন করেছে। তার অংশ হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পুলিশের দু’জন সিনিয়র কর্মকর্তা। ইমরান প্রশ্ন রাখেন- এর নেপথ্যে কে? কে এই শক্তিধর? 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!