ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা বিশ্বাস করে তার সঙ্গে সংলাপে বসে ছিলাম। সেই সংলাপে যে সমস্ত ওয়াদা তিনি দিয়েছিলেন তার একটাও রক্ষা করেননি। সুতরাং, ওবায়দুল কাদেরের কথায় আস্থা রাখার, বিশ্বাস করার কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না।
'নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে আমন্ত্রণের বিষয়ে কথা বলেছেন' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের- এ বিষয়ে ফখরুল বলেন, এটি তাদের আরেকটি চক্রান্ত জনগণকে বিভ্রান্ত করার। তারা বলবে, 'এই যে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। প্রস্তাব তারা শুনছে না, যাচ্ছে না'। আমাদের কথা পরিষ্কার, বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না। আমরা জনগণের ভোটের অধিকারটাকে ফেরত চাই। মানুষ যেন তার ভোট দিতে পারে। গত দুইবারের নির্বাচনে মানুষ তার ভোট দিতে পারেনি। স্থানীয় নির্বাচনেও ভোট দিতে পারে না। আগে ভোটে উৎসবের আমেজ থাকত। কিন্তু গেল একটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন বলেছে ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মানে ভোটাররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মূলত বিষয়টা হচ্ছে, আবার নতুন করে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। যাতে বিরোধীদলকে পুরো মাঠ থেকে বের করে দেওয়া এবং তাদের যে নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে পারে। সেই নীল নকশার নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসা যায়, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
এবার কি পারবে- এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, একেবারেই পারবে না। জনগণ আন্দোলন শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ১৭ জন মানুষ এই আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। আন্দোলন চলমান আছে। চলছে, আরও দিনে দিনে বেগবান হবে, তীব্র হবে। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সরকার বাধ্য হবে জনগণের দাবি মেনে নিতে। রমজান মাসে ইউনিয়ন, থানা ও জেলা পর্যায়ে আন্দোলন হয়েছে। এক মাস কোনো আন্দোলন হয়নি এটা ঠিক না। আন্দোলন চলছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। কখনো ওঠে আবার কখনো নামে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মহাসচিব বলেন, আমরা কাউকে কোনো নালিশ করি না। দেশের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে শুধুমাত্র রুটিন মাফিক আলোচনা হয়।