ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জামায়াতে ইসলামিকে তাদের মুরব্বি বিএনপি আবার মাঠে নামিয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তার মানে দলটি আবারও অগ্নিসন্ত্রাস ও ভাঙচুরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শনিবার (১০ জুন) বিকালে রাজধানীর খিলখেতের খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সংলাপ নিয়ে বিএনপিকে উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘আমরা তো তাদের ডাকছি না। ‘সাধিলে আবার খাইবো’। তত্ত্বাবধায়ক মানলে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে, পার্লামেন্ট বিলপ্ত করলে— কার সঙ্গে বসবেন আপনারা? বাতাসের সঙ্গে সংলাপ করবে সরকার পদত্যাগ করলে? মির্জা ফখরুল অবান্তর কথা বলে যাচ্ছেন। তার কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।’’
তিনি বলেন, ‘দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাইলে বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পার্লামেন্টের বিলুপ্তি— এই তিন ভূত মাথা থেকে নামাতে হবে।’
মার্কিন ভিসানীতিকে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পায় না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। অপকর্ম করলে বিএনপিকে এর মূল্য দিতে হবে।’
বিএনপি সমাবেশের নামে ‘পিকনিক পার্টি’ করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আবার পদযাত্রা করবে। তাদের শরিক হলো ৫২ দল। ভেতরে-ভেতরে অনেকেই ভেগে গেছে। এখন কত দলের জগাখিচুড়ি ঐক্য। যে ঐক্যে নেতা নেই, মানুষ নেই— সে আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নেবে না।’
আন্দোলনে নেতা লাগে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির দুই নেতাই দণ্ডিত। একজন হাসপাতালে আরেকজন লন্ডনে পালিয়ে আছেন। প্রতি দিন সেখান থেকে অনলাইনে ফরমায়েশ দিচ্ছে। আদালতের রায় না মেনে টেমস নদীর ওপার থেকে ফরমায়েশ পাঠাচ্ছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গণআন্দোলন চাইলে, গণআন্দোলনের ঢেউ চাইলে, সৎ সাহস থাকলে আসুন— রাজপথে আসুন, মোকাবিলা হবে। কে হারে, কে জিতে…। আমরা মাঠে থাকবো, মোকাবিলা করবো।’
‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভবিষ্যৎবাণী করছেন, আওয়ামী লীগ নাকি ১০ ভাগ ভোটও পাবে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা বলেছিল— আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন পাবে না। সে নির্বাচনে তারাই ৩০টি আসন পেয়েছে’, বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বুকে এত বল থাকলে নির্বাচনে আসেন, খেলা হবে। আসেন খেলার মাঠে। খেলার মাঠে না এসে ফাউল শুরু করেছেন, লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ খেলার মতো খেলতে নামলে, আপনাদের পালানোর পথ থাকবে না।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন— দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।