ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের মিডনাইট হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনায় কী নিয়ে আলাপ হবে, তা নিয়ে বাংলাদেশের ওকালতি করার দরকার নেই। তারা (মোদি-বাইডেন) যেটা ভালো মনে করবেন, সেটাই আলাপ করবেন। ওখানে আমার (বাংলাদেশ) ওকালতি করার প্রয়োজন নেই। ভারত অত্যন্ত পরিপক্ব গণতান্ত্রিক একটি দেশ। ভারতের মাতৃত্ব অত্যন্ত পরিপক্ব এবং অত্যন্ত সমৃদ্ধিশালী।
সোমবার বিকালে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মোদি-বাইডেনের বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা গণমাধ্যমকর্মীকে উদ্দেশ্য করে মোমেন বলেন, ওই দেশের কে কী নিয়ে আলাপ করবে, তা নিয়ে আপনাদের এতো দুশ্চিন্তা কেন?
গত ১২ই জুন ভারতের বারানসিতে জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওই বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, অনেক আলাপ হয়েছে। আমরা সেইম লেভেলে কাজ করছি। আমি খুব খুশি। আমি খুব সন্তুষ্ট। ভারত সরকার আমাদের অত্যন্ত সম্মান দিয়েছে।
জি-২০ সদস্য না, তারপরও গেস্ট নিয়ে তাদের পাশে আমাদের বসিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীনে একটি সম্মেলন হবে সেপ্টেম্বরের ২৫ থেকে ২৬ তারিখের দিকে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দিয়েছে। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে থাকবেন, যা চীনকে জানিয়ে দিয়েছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। ব্রিকস আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা অবশ্যই যোগ দেবো। আমরা এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি।
তিনি বলেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ প্রায় ৮টি নতুন দেশকে উদীয়মান অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন ব্রিকস নেতারা। এর আগে জেনেভায় মোমেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বাংলাদেশ চলতি বছরের আগস্টে ব্রিকসের সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২২ থেকে ২৪শে আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ব্রিকস নেতারা যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জোহানেসবার্গের গৌতেংয়ের স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে (এসসিসি) শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও গ্লোবাল সাউথের নেতাদের কাছে তার প্রচার অব্যাহত রাখবে এবং ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনের সময় একটি ব্রিকস আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস সংলাপ করবে। দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নালেদি পান্ডোরের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সমপ্রতি ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট দেশগুলোকে আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফরমে আরও সহযোগিতা করতে প্ররোচিত করছে।