ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারত কখনো কোনো প্রশ্ন বা হস্তক্ষেপ করেছে- এমনটা জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করতে ভিসানীতি প্রয়োগ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কিছু করণীয় আছে কিনা, সেটা তার দৃষ্টিকোণ থেকে তার নিজস্ব ব্যাপার।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে ইসকন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতকে সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। আজকে বিশ্বে যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট। এখানে বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো কথা হবে কিনা, এটা নিয়ে তো ভারতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়নি। কিংবা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমরা কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বোঝানোর জন্য।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো বহির্শক্তির পরামর্শে নয়। তিনি বলেন, বিএনপির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন মানে হচ্ছে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে হেরে আওয়ামী লীগকে প্রমাণ দিতে হবে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। যত সংশয় থাকুক না কেন, এ দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কারো কথায়, দেখানো রূপরেখা ও অন্য কোনো শক্তি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান ও সময় অনুযায়ী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। কাজেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কারো কারো মধ্যে আশঙ্কা কাজ করে। আমি একটা কথা বলতে চাই… আমাদের দেশে নির্বাচন অতীতে দেখেছি, যতবারই নির্বাচনকে সামনে রেখে আশঙ্কা ছিল, ততই আলো ঝলমল সকাল ঘনিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, আমরা কারো ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা এসব বিবেচনা করে নির্বাচনে যাচ্ছি না। আমাদের নজর সংবিধানের দিকে, দেশের জনগণের দিকে।
ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, বাংলাদেশে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথ প্রমুখ।