ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে নির্বাচন এলেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয় মন্তব্য করে মিডনাইট প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নয়। আমরা যদি ঠিক থাকি আর দেশের মানুষ যদি আমাদের সঙ্গে থাকে তাহলে আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে কিছুই করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমাদের মূল দায়িত্ব হলো জনগণ যেন আমাদের সঙ্গে থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করা। আমি বিশ্বাস করি জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তারা আমাদের সঙ্গে থাকার কারণেই বৈশ্বিক ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয়ে জেলার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ত্রাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান প্রমুখ।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে। দেশ অনেক এগিয়েছে সেটি মানুষকে জানাতে হবে। তাদেরকে নৌকায় ভোট দিতে উৎসাহিত করতে হবে। নিজ নিজ জায়গায় কাজ শুরু করে দিতে হবে। সময় বেশি নেই। ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যথা সময়ে সংবিধান মোতাবেক হবে। অবাধ, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
আমাদের নির্বাচন কমিশন খুব শক্তিশালী। সব নির্বাচনে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। সুন্দরভাবে অনেকগুলো ভালো নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পেরেছে। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ভালো নাম অর্জন করতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বিদেশী বন্ধুদের একটাই দাবি নির্বাচনটি যেন অবাধ, সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সংবিধান মোতাবেক হয়। সেখানে কে অংশ নিলো বা না নিলো তাতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা বলি আমরাও সেটিই চাই। তিনি বলেন, ওনারা (বিএনপি) বলছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। আমি বলতে চাই- আপনারা অংশগ্রহণ করবেন না সেটা আপনাদের বিষয়। আমাদের আপত্তি নেই। এটা আপনাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। জনগণ জানে তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কী করেছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে চিন্তা করেন এ সিদ্ধান্তে জনগণের কী লাভ হবে। তিনি সেটি ভালোভাবে চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের ঢাকা জেলায় এখন কোনো গ্রুপিং নেই। কোথাও থেকে থাকলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চাইতে পারেন কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য থাকতে হবে নৌকাকে জয়ী করা। সবাইকে নৌকার জন্য কাজ করতে হবে। যেন ঢাকা জেলার পাঁচটি আসন আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারি।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, যথা সময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকবে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে বিদেশিদের আজ্ঞাবহ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তাদের প্রতিহত করতে হবে।
এসময় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় করে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সাবেক এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেক শিল্পপতি রয়েছে। কিন্তু সালমান এফ রহমানের মতো বড় হৃদয়ের মানুষ কম রয়েছে।