ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কিছু বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছিল এবং তা কমে এসেছে বলে দাবি করেছেন মিডনাইট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন তিনি।
চার দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে বৃহস্পতিবার রাতে উজরা জেয়া ঢাকা ছেড়েছেন। তার আগে গুলশানে সালমান এফ রহমানের বাসভবনে রাত ৯টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুও ছিলেন।
অপর দিকে বাংলাদেশের পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘কিছু বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভুল– বোঝাবুঝি হয়েছিল। সে কারণে দেশটি বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) দিয়েছিল। বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব কমেছে।’
বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে সালমান রহমান বলেন, ‘তাঁরা বাংলাদেশে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ চেয়েছে।
গত বুধবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে। পুলিশের এমন নিরপেক্ষতার ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। এটাকে মডেল হিসেবে চিহ্নিত করার কথা বলেছে। আমরাও তাঁদের বলেছি সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চায়।’
দুই দেশের মধ্যে কীভাবে সম্পর্ক জোরদার করা যায়, কীভাবে ব্যবসা–বাণিজ্য বাড়ানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান সালমান রহমান।
তিনি বলেন, দুটি দেশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে। বন্ধুত্বের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি হতে পারে। এ জন্য দরকার দুই দেশের মধ্যে বৈঠক, আলোচনা। আমরা এটিকে স্বাগত জানিয়েছি। ভুল–বোঝাবুঝির অবসানের জন্যই এই বৈঠক। এর মাধ্যমে দূরত্ব অনেক কমেছে।
তিনি বলেন, দূরত্ব কমাতে দুই দেশের আসা–যাওয়া অব্যাহত থাকবে। তাঁরা আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই প্রক্রিয়া চালু থাকবে।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরে যে শ্রমিকনেতা নিহত হয়েছেন, তিনি আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। বিএনপি তাঁকে নিজেদের নেতা বলে চালিয়ে দিতে ওই নেতার স্ত্রীকে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেননি। বিষয়টি তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছেন।