ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকালে রাজধানীর গুলশানে সোয়া এক ঘণ্টার এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর টিমোথি ডকেট।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ।
বৈঠক শেষে কথা বলেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য। গেল এক সপ্তাহে বাংলাদেশের হামলা-মামলা, মৃত্যু ও সরকারি কর্মকর্তাদের রদবদল নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা (যুক্তরাজ্য) দৃষ্টি রাখছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন করে বলার কিছু নেই। একটা কথা বার বার বলছি যে, বাংলাদেশের ওপর সমস্ত গণতন্ত্রকামী দেশ যেগুলো আছে, বিশ্বের গণতন্ত্রকামী যে সংগঠনগুলো আছে, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যারা মানবাধিকারে বিশ্বাস করে বিশেষ করে আইনের শাসনে, জীবনের নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে… সবারই্ কনসার্ন একটা জায়গায়। এর পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হচ্ছে একটা নিরপেক্ষ, গ্রহনযোগ্য ও অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন।
তিনি বলেন, গত এক সাপ্তাহে দেখা গেছে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, কত জন আহত হয়েছে, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, কত মামলা হয়েছে, কোথায় কোথায় ডিসি পোস্টিং হচ্ছে, কোথায় কোথায় পুলিশ অফিসার পোস্টিং হচ্ছে, কোথায় কোথায় টিএনও পোস্টিং হচ্ছে। নির্বাচনে চুরি করা প্রকল্প, ভোট চুরির প্রকল্প অব্যাহত আছে।
ভোট চুরির প্রকল্প অ্যাকটিভাবে চলছে। এটার কোনো পরিবর্তন কেউ দেখতে পারছে না। এজন্য বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকার ব্যতিত একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এই ভোট চুরির প্রকল্প ভাঙার একমাত্র পথ নির্দলীয় সরকারের অধীনে। এই আলোচনা এখন সব জয়গায় চলছে।
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে নির্দলীয় সরকারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সমর্থন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু বৃটেন না, সারা বিশ্বের প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশে কেন আসছে, কেন বার্তা দিচ্ছে, কোন প্রতিনিধিমূলক, অংশীদারিত্বমূলক, অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে? তারা কি অন্য কোনো দেশে যাচ্ছে সাউথ এশিয়াতে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয় না। এটা সবাই জানে। তারা যেভাবে কথাগুলো বলছে এটার অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে না, বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিতে পারছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক দেশগুলো নির্বাচন নিয়ে কথাগুলো বলছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হতো তাহলে এসব প্রশ্নও উঠতো, আলোচনা হতো না আর ব্রিটিশ হাইকমিশনারও এখানে এসে এসব আলোচনা করতেন না।