ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মিডনাইট হাসিনা সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে হেরে গেছে, যে দল আন্দোলনে হারে তারা নির্বাচনেও হেরে যায়। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ তারা নির্বাচনেও ব্যর্থ, জিততে পারে না। ‘বিএনপি নেতাদের চোখ শুকিয়ে গেছে, আন্দোলন হয় না। এই বছর না ওই বছর আন্দোলন হবে কোন বছর? এ বছর রমজানের ঈদের পর বলে কুরবানির ঈদ, কুরবানির পর বলে পরীক্ষার পর, এভাবে দেখতে দেখতে ১৪বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মির্জা ফখরুল নোয়াখালীতে এসে বিষাদগার করেছে, সাঙ্গোপাঙ্গোদের দিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে গেছে। ফখরুল মনে হয় জানে না এ নোয়াখালী একসময় বিএনপির ঘাঁটি ছিলো, কিন্তু এ নোয়াখালী এখন আর বিএনপির ঘাঁটি নেই, বর্তমানে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, শেখ হাসিনার ঘাঁটি। প্রস্তুত থাকবেন যে হাত আগুন নিয়ে পোঁড়াতে আসবে সে হাত আগুনে পুঁড়ে যাবে, সেই হাত পুঁড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত ভাঙচুর করতে আসবে, সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের চোখ শুকিয়ে গেছে, আন্দোলন হয় না। এই বছর না ওই বছর আন্দোলন হবে কোন বছর? এ বছর রমজানের ইদের পর বলে, কুরবানির ইদ, কুরবানির পর বলে পরীক্ষার পর, এভাবে দেখতে দেখতে ১৪বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর। ভিসা নীতি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আসবে বলে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ভয় দেখিয়েছে। শেখ হাসিনা বলে আমার দেশ আমি শেখ মুজিবের কন্যা। যত হুমকি আসে শেখ হাসিনা মাথা নত করবে না, করতে পারে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান দম্ভ করে বলেছিলেন, মানি ইজ নো প্রবলেম। টাকা কোন সমস্যা না।
আর আজ লন্ডনে বসে জিয়াউর রহমানের পলাতক পুত্র তারেক রহমান গতকাল স্কাইপিতে বলেছে, টাকার কোন সমস্যা নেই। তারেক রহমান ১৬ বছর আগে মুছলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে আর রাজনীতি করবেনা বলে। সেই তারেক রহমান এখন বলে, টাকার কোন অভাব হবে না। আন্দোলন করে শেখ হাসিনার পতন ঘটাও। তারেক রহমান বিএনপির নেতাকর্মীকে টাকার দম্ভ দেখাচ্ছে। এত টাকা কোথায় থেকে এলো? কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে সে। তারেকের অর্থ পাচারের কথা সারা দুনিয়ার মানুষ বুঝে। এই অপশক্তিকে রুখতে হবে।
শনিবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কবিরহাট সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন, শান্তি ও সুধি সমাবেশে এবং পরে বিকেলে নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চীফ হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীম, নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ, নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম সহ দলের অনান্য নেতৃবৃন্দ।