DMCA.com Protection Status
title=""

শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য রাখলে ‌জিভ কেটে ফেলার নির্দেশ!

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কেউ অশালীন বক্তব্য রাখলে সঙ্গে সঙ্গে ‘জিভ কেটে নদীতে ফেলে দিতে’ নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা।

শনিবার (১২ আগস্ট) বিকালে শহরের দুই নম্বর গেট এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

খোকন সাহা বলেন, ‘মাঝে মাঝে শহীদ মিনার এলাকায় হুট করে ওরা চলে আসে। নেত্রীর সম্পর্কে অশালীন বক্তব্য রাখে। নেত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্কে, আওয়ামী লীগ সম্পর্কে, নেতা-কর্মীদের সম্পর্কে কেউ অশালীন বক্তব্য রাখলে বা কথা বললে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে চলে যাবেন। ওদের জিভ কেটে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গাতে ফেলে দিবেন। নেত্রী ও দলের প্রশ্নে কোনো আপস নাই।’

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপির বন্ধুর নির্বাচন চান না, তারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে তৃতীয়পক্ষকে ক্ষমতায় আনতে চায়। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা যায়, বাস্তবে তা হয় না। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে-ঘাটে কাজ করেন। নাশকতা করলে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করলে এক ইঞ্চি ছাড় দেবো না। বাংলাদেশের কোথাও কী হবে জানি না, নারায়ণগঞ্জে আপনারা রক্ষা পাবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে কার কী ভূমিকা ছিল সেই কথা বলতে গেলে ঐক্য নষ্ট হয়ে যায়। ছাত্রলীগের তৎকালীন কৃতি ফুটবলার সুরেশ ঘোষকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন আমাদের নেতা একেএম শামসুজ্জোহা। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট গ্রেপ্তার হয়ে ৪৮ মাস জেলখানায় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছিল। ওই সময় আমাদের দলের একজন জনপ্রতিনিধি তাকে একটা প্রত্যায়নপত্র দেয় নাই। এই হচ্ছে দলের ত্যাগী নেতাদের করুণ পরিণতি। নির্বাচন আসন্ন, তাই অনেককিছু বলতে চাই কিন্তু বলতে পারি না।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক জড়িত উল্লেখ করে তাদের মরণোত্তর বিচার দাবি করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ফিরে দেখা ১৯৭৫, নারায়ণগঞ্জ’ নামে সংগঠনের আয়োজনে এই আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, সাবেক সহসভাপতি রবিউল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানিসহ অনেকে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!