মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে: শরণার্থী বর্হিভূত বাংলাদেশের জনৈক শাহীন সরকার নামের এক ব্যক্তির অনুমোদিত আইনি পূর্নমূল্যায়ণ রায়ে কানাডার ফেডারেল কোর্টের বিচারক হেনরি এস. ব্রাউন লিখেছেন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক আওয়ামী লীগ সদস্যবৃন্দ কর্তৃক ওই ব্যক্তির পারিবারিক মুদি দোকান চাঁদাবাজির কবলে পড়েছে। যদিও ওই রায়টি ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর রাজধানী অটোয়ায় প্রদান করা হয়, তথাপি তা অনুবাদ আকারে জনসমক্ষে প্রকাশ পেয়েছে গত ১৬ আগস্ট, ২০২৩।
ওই বিচারক রায়ের সত্যাসত্য অংশের ৫ থেকে ৯ অনুচ্ছেদে লিখেছেন, আবেদনকারী বাংলাদেশ থেকে আসা ৩৯ বছর বয়সী। আরপিডি [রিফ্যুজি প্রটেক্টশন ডিভিশন] প্রমাণ পেয়েছে ওই ব্যক্তির পারিবারিক মুদি দোকান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক আওয়ামী লীগ সদস্যবৃন্দ কর্তৃক চাঁদাবাজির কবলে পড়েছে। ২০০৬ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে আবেদনকারী তিনটি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন। সে সময় আপদ লোকগুলো তার দোকানে হাজির হয়ে তিন লাখ টাকা দাবি করে। সেটি প্রদানে অনীহা প্রকাশ করলে আবেদনকারীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করা হয়। সেই আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে আরপিডি প্রমাণাদিসহ আবেদনকারীর মৌখিক জবানবন্দি নেয়, যা সত্যাসত্য হিসেবে গৃহীত হয়।
আবেদনকারী ২০০৬ সালের ১০ মার্চ এক বন্ধুর সঙ্গে বাড়ী ফেরার পথে মুখে ঘুষি খায়। এতে তাকে আবারও চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রেও আরপিডি প্রমাণাদিসহ তার মৌখিক জবানবন্দি নেয়, যা সত্যাসত্য হিসেবে গৃহীত হয়। ২০০৬ সালের ২৭ জুলাই আবেদনকারী ১০ দিনের মধ্যে তিন লাখ টাকা প্রদানের জন্য ফোন কল পায়, যেখানে তাকে পুলিশের অপরাধ ও সন্ত্রাস দমনকারী সংস্থা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কাছে তুলে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এতেও আরপিডি প্রমাণাদিসহ তার মৌখিক জবানবন্দি নেয়, যা সত্যাসত্য হিসেবে গৃহীত হয়। এই সকল বিষয়ে আবেদনকারী আরপিডি’র কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, যা তার বেসিস অব ক্লেইমে (বিওসি) সন্নিবেশিত রয়েছে।
এই রায়টি দেখতে কিংবা পিডিএফ কপি ডাউনলোড করতে অনলাইনে ফেডারেল কোর্ট অব কানাডার ডিসিশন আর্কাইভে গিয়ে ডকেট: আইএমএম-৬৭৭৭-২১, সাইটেশন: ২০২২ এফসি ১৩৬৭ এবং শাহীন সরকার ও দ্য মিনিস্টার অব সিটিজেনশীপ অ্যানড ইমিগ্রেশন লিখতে হবে।
কানাডা আদালতের রায়ের লিংকঃ
https://decisions.fct-cf.gc.ca/fc-cf/decisions/en/item/522249/index.do