DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

আবারও সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় সামিট গ্রুপের আজিজ খানঃএবার ৪১ তম

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  আবারও সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় স্থান পেলেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ‘ফোর্বস’ সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে মুহাম্মদ আজিজ খান আছেন ৪১তম অবস্থানে। গত বছর এই তালিকায় তিনি ছিলেন ৪২তম। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়েছেন তিনি।  

উল্লেখ্য, সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত কোম্পানি। এ কারণে বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও কোম্পানিটির সম্পদের হিসাব করা হয় সিঙ্গাপুরে। আজিজ খান সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্বও নিয়েছেন। 

ফোর্বসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবারের হিসাবে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী আজিজ খানের মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার। গত বছর একই সময়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি  ডলার। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে তাঁর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১০ কোটি ডলার।  

মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় প্রথমে স্থান পান ২০১৮ সালে। ওই বছর তিনি এ তালিকায় ৩৪ নম্বরে ছিলেন। সে বছর সিঙ্গাপুরে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯১ কোটি ডলার। এরপর সেরা ধনীদের তালিকায় অবস্থান আগের তুলনায় কিছুটা পেছালেও তাঁর সম্পদের পরিমাণ বাড়ছে। ২০২১ সালে দেশটিতে আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৯ কোটি ডলার। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো তিনি বিলিয়নেয়ার বা শতকোটি ডলারের ব্যবসায়ীদের ক্লাবে প্রবেশ করেন। 

ফোর্বসের দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৯ সালে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) ২২ শতাংশ শেয়ার জাপানের কোম্পানি জেরার কাছে বিক্রি করেন আজিজ খান। ওই ২২ শতাংশ শেয়ারের মূল্য ধরা হয় ৩৩ কোটি ডলার। সে হিসাবে তখন এসপিআইর বাজারমূল্য ছিল ১৫০ কোটি ডলার। মুহাম্মদ আজিজ খানের মেয়ে আয়েশা খান এই কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

ফোর্বস জানায়, সারাবিশ্বের বিলিয়নেয়ারের তালিকায় ৬৮ বছর বয়সী আজিজ খান রয়েছেন ২৫৪০তম অবস্থানে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস ও রিয়েল এস্টেট খাতে ব্যবসা রয়েছে তাঁর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে মাস্টার্স করেছেন। 

গত বছর ফোর্বসের বিলিয়নেয়ারের তালিকায় স্থান পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় মুহাম্মদ আজিজ খান বলেছিলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ফোর্বস যেহেতু বাংলাদেশের সম্পদ মূল্যায়ন করা শুরু করেছে তাই আরও বাংলাদেশি তাদের বিলিয়নেয়ারের তালিকায় স্থান পাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সামিট বাংলাদেশে ২৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের সুযোগ পেয়েছে। আগামী ৫ বছরে আরও ২৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।’ 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!