DMCA.com Protection Status
title="৭

বিরোধীদল ঠেকাতে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগের ৬ লাখ সদস্যের বাহিনী

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠ দখলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলগুলো; যে দৌড়ে পিছিয়ে থাকতে চায় না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। রাজনীতির মাঠ নিজেদের দখলে ও বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের খবর সাধারণদের কাছে পৌঁছে দিতে ৬ লাখ সদস্যের বিশাল বাহিনী মাঠে নামাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

এসব কর্মীদের কাজ হবে ভোটারদের ঘরে ঘরে যাওয়া। তাদের অভিযোগ নিয়ে কথা বলা। সমাধান খোঁজা, উন্নয়ন জোয়ার প্রচার। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বিরোধী দলগুলো যেসব কথা বলে বেড়াচ্ছে। তার বিপরীতে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষে তথ্য তুলে ধরার কাজও তাদের।

দলটির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ৬ লাখ সদস্যের বিশাল এই কর্মী বাহিনী মাঠে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। যাকে বলা হচ্ছে ‘অফলাইন ক্যাম্পেইন’।

অফলাইন এই ক্যাম্পেইন নিয়ে কবির বিন আনোয়ার মিডিয়াকে বলেন, নির্বাচনী প্রচারের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা শেখ হাসিনার অর্জন মানুষের দ্বারে নিয়ে যাবে। এতে আসন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিও বাড়াবে।

এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্যের বরাত দিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ১০০ জনকে নিয়ে কর্মশালা করা হয়। এটা ছিল প্রথম ব্যাচ।

এ ছাড়াও ব্যাচ করে সারা দেশে কর্মশালার আয়োজন করা হবে। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তৃতা করেন।

মাস্টার ট্রেইনারদের জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষক ও মেন্টর তৈরির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ শহরের একটি মিলনায়তনে প্রথম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মাঠপর্যায়ের কিছু প্রচারকর্মীও ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবির বিন আনোয়ার। পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম অন্যান্য জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে হওয়ার কথা রয়েছে।

এখানে একটি বড় প্রশ্ন হলো কীভাবে এসব কর্মী নির্বাচন করা হবে? এ বিষয়ে দলীয় সূত্র বলছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে সারা দেশে ১২টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দল ৬টি জেলার দায়িত্ব পালন করবে। তারা মূলত তৃণমূল থেকে মাঠপর্যায়ের প্রচারকর্মী বাছাই করবে। এরপর তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হবে। সবার ওপরে থাকবেন ‘মাস্টার ট্রেইনার’। ইতিমধ্যে ২০০ জনের মতো মাস্টার ট্রেইনার বাছাই করা হয়েছে।

জানা গেছে, উদ্যোগটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে কেন্দ্রীয় কল সেন্টার। এ ছাড়া এই পুরো কর্মযজ্ঞ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সমন্বয় করবে একটি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দল। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!