DMCA.com Protection Status
title="৭

আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘিরে বিএনপির নতুন টার্গেট!

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে নির্বাচনের তফসিল ঘিরেই রাজপথ উত্তপ্ত করতে চায় বিএনপি। বর্তমানে দলটির টানা ১২ দিনের কর্মসূচি চলছে।

ঢাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে আগামী ১৮ অক্টোবর শেষ হবে চলমান কর্মসূচি। ঢাকার সমাবেশ থেকে ঘোষণা করা হবে নতুন ও শেষ ধাপের কর্মসূচি। তবে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজার সময়ে আন্দোলনের কর্মসূচি থাকবে না। শেষ ধাপের আন্দোলন চলতে পারে বিরতিহীন।

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের গতি বাড়তেই থাকবে। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা আন্দোলন করছেন।


এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এবার সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করতে যত ধরনের কর্মসূচি প্রয়োজন, তারা তা দেবেন। জানা যায়, তফসিল ঘোষণার আগে দেওয়া হতে পারে আলটিমেটাম। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সরকার একদফার দাবি না মানলে দেওয়া হতে পারে হরতাল-অবরোধ কিংবা ঢাকা ঘেরাওয়ের মতো চূড়ান্ত কর্মসূচি।

শেষ ধাপের ওই কর্মসূচি চলতে পারে বিরতিহীনভাবে। বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি কার্যকরের ঘোষণার পর সরকার আরও চাপে পড়ে গেছে। এতে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। সেটাকে রাজপথে কাজে লাগাতে চান তারা। এখন চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলনে নামার বিষয় নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। শেষ ধাপের কর্মসূচি নিয়ে কয়েক দিন ধরে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। জানা যায়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে রাজপথ ছাড়া সমাধান দেখছে না বিএনপি। দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন,

এবার কোনো হামলা-মামলা ও বাধাবিঘ্নে আর পিছু হটার সুযোগ নেই। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সূত্র জানান, নভেম্বর মাসকেই দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে টার্গেট করা হয়েছে। তারা ব্যাপক জনসমাগমের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাবেন। সরকার যদি তা না করে দমন-পীড়নের পথে হাঁটে, এবার বিএনপিও পিছু হটবে না। আন্দোলনের কর্মসূচিতে বাধা এলে তা প্রতিহত করতে যা যা করার, তা-ই করার প্রস্তুতি থাকবে তাদের। এ ক্ষেত্রে বিদেশি চাপ আরও বাড়বে বলে আশা করছে দলটি।

যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভোটের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের গতি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব ইনশাআল্লাহ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এ সরকার বিদায় নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে অনশন, অবস্থান ধর্মঘট ও ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি থাকতে পারে। তবে সময়ই বলে দেবে চলমান আন্দোলনের গতিপথ কোন দিকে মোড় নেবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি, গণমিছিল, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিলের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছি। এতে লাখো জনতা উপস্থিত হয়ে আমাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে। এরপরও যদি সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেয়, সেক্ষেত্রে হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দিয়েই আমাদের দাবি আদায় করতে হবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!