ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি-জামায়েত সহ সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকে সারা দেশ ব্যাপী তৃতীয় দফার সর্বাত্মক অবরোধ শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার এই কর্মসূচিতে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেয়া হয় দলগুলোর পক্ষ থেকে। বুধবার ভোর ৬টায় শুরু হওয়া অবরোধ চলবে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। অবরোধে ছাড়ছে না কোনো দূরপাল্লার বাস।
এদিকে বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীতে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম চলতে দেখা গেছে।
সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নিউ মার্কেট, কাঁটাবন মোড় ও পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও মোড়, ফার্মগেট, আগারগাঁও, শ্যামলী, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার এলাকায় গণপরিবহন খুব কম চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি ও রিকশা চলাচল করছে সড়কে। অন্যদিকে মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন সতর্ক অবস্থানে।
অন্যদিকে অবরোধে ছাড়ছে না দূরপাল্লার বাস। গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকেও আজ দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি।
মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মানবজমিনকে বলেন, যাত্রী শূন্য। সব বাস বসে আছে। যাত্রী না থাকলে শূন্য সিট নিয়ে বাস ছাড়া যাচ্ছে না। যদিও কাউটারগুলো খোলা রাখা হয়েছে।
যাত্রীর অপেক্ষায় টার্মিনালের কাউন্টারগুলো। কিন্তু যাত্রী নাই। দু-একটি বাস দীর্ঘক্ষণ পরে ছাড়ে।
এর বাইরে ফাঁকা রয়েছে গাবতলী বাস টার্মিনালও। নেই লোকজনের চলাচল। ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার কোনো বাস। অধিকাংশ কাউন্টারও বন্ধ। যাত্রী যদিও দু-একজন আসছেন, কিন্তু বাস না ছাড়ায় তারাও পড়েছেন বিপাকে। কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা এক প্রতিনিধি জানান, অবরোধ এলে যেমন যাত্রীর সংখ্যা কমে যায়, তেমনি ঝুঁকি বিবেচনায় মালিকরা গাড়ি ছাড়তে চায় না।
গাবতলী টার্মিনালের সৌদিয়া পরিবহনের প্রতিনিধি খুরশেদ আলম সকাল ১০টার দিকে বলেন, দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়ছে না গাবতলী টার্মিনাল থেকে। যাত্রীর অভাবে বাস ছাড়ছে না তারা।
মাগুরাগামী জেআর পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, অবরোধের কারণে যাত্রীও নেই, ফলে বাসও ছাড়া হয় না।